চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা

চা বাগানগুলোতে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই করা হয় কীটনাশক প্রয়োগ

  • বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১

এইবেলা, কুলাউড়া ::

মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানগুলোতে চা শ্রমিকরা কীটনাশক প্রয়োগ করে কোন প্রকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই। জেলার ৯২টি চা বাগানে কীটনাশক প্রয়োগের কাজে নিয়োজিত প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি চা শ্রমিক। এসব শ্রমিকের স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়াও অবাধে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পরিবেশের জন্য বিষয়টি হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াফের আয়োজনে ২৮ এপ্রিল বুধবার কুলাউড়ায় চা বাগানে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়ক এক ভাচর্ৃ্যুয়াল সেমিনারে এমন তথ্য জানানো হয়। কীটনাশক ছাড়াও চা বাগানগুলোতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং রান্নার জ¦ালানী শ্রমিকদের জন্য উদ্বেগের বলে উল্লেখ করা হয়।

সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কুলাউড়া উপজেলার লংলা চা বাগানের কীটনাশক প্রয়োগকারী শ্রমিক দিলীপ রাজভর জানান, দেশের ১৬৫টি চা বাগানের মধ্যে কেবল মৌলভীবাজার জেলায় ৯২ টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিটি চা বাগানে কমপক্ষে গড়ে ২০০ চা শ্রমিক রয়েছে যারা কীটনাশক প্রযোগের কাজে নিয়োজিত। বেশির ভাগ চা শ্রমিক জানে না, কোন প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া কীটনাশক প্রয়োগ করলে তাদের জন্য কী ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে। ফলে তারা প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই কীটনাশক প্রয়োগ করেন। প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লাভস, চশমা, কাপড় না লাগানোর আরেকটা কারণ হলো ৫ থেকে ১০ মিনিট পর প্রচন্ড রকম গরম লাগে। রোদের মধ্যেই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়. তাই অনেকে গরমের অস্বস্থি থেকে বাঁচতে এসব পরা থেকে বিরত থাকেন।

চা শ্রমিক নেতা প্রেমানন্দ রায় জানান, অনেক বাগানে কীটনাশক প্রয়োগকারীদের প্রতিরোধক সরঞ্জাম দিয়ে থাকে কিন্তু শ্রমিকরা সেটা পরে না। অনেকেই মনে করে বাপদাদারা এভাবেই তো দিয়ে গেছে। তারাও দিচ্ছে। তাছাড়া যে সব বাগানে প্রতিরোধক সরঞ্জাম দেয়া হয়, সেগুলো নিম্নমানের। তাই শ্রমিকরা পরতে আগ্রহ দেখায় না।

চা বাগানের চিকিৎসক ডা. কেরামত জানান, চা শ্রমিকরা তাদের প্রচলিত ধারণাকেই গুরুত্ব দেয়। ফলে কীটনাশক প্রয়োগে প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া কিকি ক্ষতি হতে পারে?- এসব বিষয়ে শ্রমিকদের সচেতন করতে পারলে, তবেই এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শ্রমিকদের নিবৃত করা যেতে পারে।

কুলাউড়া উপজেলা টিলাগাঁও ইউনিয়নের মেম্বার রনজিৎ নাইড়ু ও নার্সারী শ্রমিক সর্দারনী দিপ্তী রানী জানান, এসবের পাশাপাশি চা বাগানে রাবার চাষ, পরিবেশের জন্য একটি বড় হুমকি। বেশির ভাগ চা বাগান মালিকরা অধিক মুনাফার আশায় নীতিমালা লঙ্ঘন করে চা বাগানে রাবার গাছ লাগিয়েছেন। চা শ্রমিকরা রাবার সেকশনে কয়েকদিন কাজ করার পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই রাবার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ও পরিবেশের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াফের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মালিকের সঞ্চালনায় ভাচর্ৃ্যুয়াল সেমিনারে চা শ্রমিক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন। মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিউর আর্থ এর প্রোগ্রাম অফিসার জায়ন রাব্বি সমাদ্দার।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews