এইবেলা, কুলাউড়া ::
ঘরর তলে (নিচে) হুতিয়া (শুইয়া) মরমু (মরবো) ইডা চিন্তাউ করতাম পারছি না। বলে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন ষাটোর্ধ্ব বাবুল মালাকার।
কান্না থামার পর জানালেন, স্ত্রী শেফালী রানী মালাকারকে নিয়ে রেলের জায়গায় ঘর বানিয়ে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করেন। এবার না হয় মরতে পারবো নিশ্চিন্তে। যিনি এই ঘরটি দান করেছেন, সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে থেকে একটিবার দেখার বড় শখ। ঘরে প্রবেশ করেই ভগবানের কাছে ভক্তি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করবেন বলে জানান।
কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের মাইজগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বাবুল মালাকার। অভাবের তাড়নায় ভিটেমাটি হারিয়ে এখন রেলে পতিত জমিতে বসবাস করেন। বাবুল মালাকার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এসেছিলেন স্ত্রী শেফালী রানী মালাকারকে সঙ্গে নিয়ে।
জায়গাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ঘর পেয়ে যেন তার আনন্দ অশ্রু থামছিল না। নি:সন্তান এই দম্পতির এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। এখন বাকি জীবন কেটে যাবে নিশ্চিন্তে।
বাবুল মালাকারের মতো কুলাউড়া উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে কুলাউড়া উপজেলায় ১০০ জন দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষ পেলেন জমিসহ ঘর। রোববার দেশব্যাপী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ উপলক্ষে জমির দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিমুল আলীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহেদী হাসান, ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ একেএম নজরুল ইসলাম, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক, নবাব আলী ওয়াজেদ খান বাবু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে প্রমুখ।#
Leave a Reply