কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্কে দিদারুল ইসলামের পরিবারের সাক্ষাৎ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ১৮ নভেম্বর একেকটা ক্যানভাসে একেকটা গল্প নিয়ে দলীয় প্রদর্শনী সম্পন্ন সিলেটে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি দৈনিক শ্যামল সিলেটের বার্তা সম্পাদকের মৃত্যুতে ছাতকে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের শোক কুলাউড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা ভূরুঙ্গামারীতে ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি আটক উলিপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভা বড়লেখা সীমান্তে পরিত্যক্ত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার কমলগঞ্জে চা-শ্রমিক সংঘের সভা :  দুর্গাপূজায় ন্যায্য বোনাস প্রদানসহ মজুরির দাবি

কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য

  • বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে :: কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন কুলাউড়ার আশীষ কুমার পাল। এসব অবদানের জন্য পেয়েছেন সাফল্য। ইতোমধ্যে যিনি উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়েও হয়েছেন পুরস্কৃত।

কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মৈষাজুরী গ্রামের বাসিন্দা আশীষ কুমার পাল। লেখাপড়ায় খুব একেটা ভালো করতে না পারায়, মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েই মনোনিবেশ করেন বৈষয়িক বিষয় দেখাশুনা করায়। পৈত্রিক সম্পত্তিতেই শুরু করেন কৃষি কাজ। গড়ে তুলেছেন মৎস্য ও গবাদি পশুর খামার। এসব েেথকে প্রতি বছর আয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

সরেজমিন আশীষ কুমার পালের বাড়িতে গেলে চোখে পড়ে বিশাল গরুর খামার, মৎস্য খামার বায়ো গ্যাস প্লান্ট। কথা প্রসঙ্গে আশীষ কুমার পাল জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে বৈষয়িক সম্পত্তি দেখাশুনা শুরু করেন। ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছা থেকে তিনি মনোনিবেশ করেন পশু পালনে। ১৯৯১ সালে গড়ে তুলেন গরুর খামার। গরুর দুধ বিক্রি ও ষাড় বিক্রি করে আয়ের শুরু। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গরুর খামার। খামার করতে গিয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শে গাভীর কৃত্রিম প্রজননের উপর গ্রহণ করেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর থেকে তিনি গোটা উপজেলায় অর্ধশতাধিক খামারে কৃত্রিম প্রজননের উপর কাজ করেন। কৃত্রিম প্রজননে একজন দক্ষ কারিগর হিসেবে গোটা উপজেলার খামারিদের কাছে এখন আশীষ কুমার পালের ব্যাপক কদর।

আশীষ কুমার পাল আরও জানান, গরুর গোবর কাজে লাগাতে তৈরি করেন বায়োগ্যাস প্লান্ট ও জৈব সার উৎপাদন। বায়োগ্যাসে চলে পারিবারিক রান্নাবান্নার কাজ আর জৈব সারে করেন ধান চাষ। ধান চাষের পাশাপাশি উন্নত আলু চাষ ও গরুর খাদ্যের জন্য ঘাস উৎপাদন করেন।

বর্তমানে ৩২ বিঘা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে বছরে ২বার আউশ ও আমন চাষ করেন। নিজের খাবার শেষে কয়েক লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন।

এছাড়া ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে আশীষ কুমার পালের মৎস্য খামার। এই মৎস্য খামারে রুই ও কাতলা জাতের মাছের চাষ করেন। বছরে এই খাত থেকেও তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান।

এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আশীষ কুমার পাল ১৯৯৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন। সমন্বিত কৃষি ভিত্তিক খামার স্থাপনে ২০১২ সালে জাতীয় পর্যায়ে ব্রোঞ্জ পদক পান। চলতি বছর ২০২২ সালে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী মেলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।

আশীষ কুমার পালের স্বপ্ন কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগে পৃথকভাবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণ করা। সে লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমেন জানান, সমন্বিত কৃষিতে আশীষ কুমার পাল একজন সফল ব্যক্তি। কৃষি বিভাগ তার সকল কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে থাকে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!