কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিটারে টেক্সটাইল ট্যালেন্ট হান্ট ৯.০ অনুষ্ঠিত  সাংবাদিকদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন  বিজয় পোস্টার  প্রেজেন্টেশন’২০২৪ এর রেজিষ্ট্রেশনের আর তিনদিন বাকি বিজিবির অভিযান : জুড়ীতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ি আটক, থানায় সোপর্দ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নিটারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন  নিজ গাড়িতে গাছচাপায় ওসমানীনগরের যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মর্মান্তিক মৃত‌্যু মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ নারীর মৃত‌্যু বড়লেখায় ফারিয়ার কার্যকরি কমিটির সভাপতি শহিদুল সম্পাদক জুয়েল জুড়ীর ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ

কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে কুলাউড়ার আশীষের সাফল্য

  • বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এইবেলা, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে :: কৃষি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন কুলাউড়ার আশীষ কুমার পাল। এসব অবদানের জন্য পেয়েছেন সাফল্য। ইতোমধ্যে যিনি উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়েও হয়েছেন পুরস্কৃত।

কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মৈষাজুরী গ্রামের বাসিন্দা আশীষ কুমার পাল। লেখাপড়ায় খুব একেটা ভালো করতে না পারায়, মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়েই মনোনিবেশ করেন বৈষয়িক বিষয় দেখাশুনা করায়। পৈত্রিক সম্পত্তিতেই শুরু করেন কৃষি কাজ। গড়ে তুলেছেন মৎস্য ও গবাদি পশুর খামার। এসব েেথকে প্রতি বছর আয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা।

সরেজমিন আশীষ কুমার পালের বাড়িতে গেলে চোখে পড়ে বিশাল গরুর খামার, মৎস্য খামার বায়ো গ্যাস প্লান্ট। কথা প্রসঙ্গে আশীষ কুমার পাল জানান, বাবা মারা যাওয়ার পরেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে বৈষয়িক সম্পত্তি দেখাশুনা শুরু করেন। ব্যতিক্রমী কিছু করার ইচ্ছা থেকে তিনি মনোনিবেশ করেন পশু পালনে। ১৯৯১ সালে গড়ে তুলেন গরুর খামার। গরুর দুধ বিক্রি ও ষাড় বিক্রি করে আয়ের শুরু। আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে গরুর খামার। খামার করতে গিয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শে গাভীর কৃত্রিম প্রজননের উপর গ্রহণ করেন বিশেষ প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর থেকে তিনি গোটা উপজেলায় অর্ধশতাধিক খামারে কৃত্রিম প্রজননের উপর কাজ করেন। কৃত্রিম প্রজননে একজন দক্ষ কারিগর হিসেবে গোটা উপজেলার খামারিদের কাছে এখন আশীষ কুমার পালের ব্যাপক কদর।

আশীষ কুমার পাল আরও জানান, গরুর গোবর কাজে লাগাতে তৈরি করেন বায়োগ্যাস প্লান্ট ও জৈব সার উৎপাদন। বায়োগ্যাসে চলে পারিবারিক রান্নাবান্নার কাজ আর জৈব সারে করেন ধান চাষ। ধান চাষের পাশাপাশি উন্নত আলু চাষ ও গরুর খাদ্যের জন্য ঘাস উৎপাদন করেন।

বর্তমানে ৩২ বিঘা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে বছরে ২বার আউশ ও আমন চাষ করেন। নিজের খাবার শেষে কয়েক লক্ষ টাকার ধান বিক্রি করেন।

এছাড়া ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে আশীষ কুমার পালের মৎস্য খামার। এই মৎস্য খামারে রুই ও কাতলা জাতের মাছের চাষ করেন। বছরে এই খাত থেকেও তিনি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান।

এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আশীষ কুমার পাল ১৯৯৮ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেন। সমন্বিত কৃষি ভিত্তিক খামার স্থাপনে ২০১২ সালে জাতীয় পর্যায়ে ব্রোঞ্জ পদক পান। চলতি বছর ২০২২ সালে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শণী মেলায় উপজেলা পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।

আশীষ কুমার পালের স্বপ্ন কৃষি, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগে পৃথকভাবে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণ করা। সে লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল মোমেন জানান, সমন্বিত কৃষিতে আশীষ কুমার পাল একজন সফল ব্যক্তি। কৃষি বিভাগ তার সকল কর্মকান্ডে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে থাকে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews