নিউজ ডেস্ক:-যশোরের চৌগাছায় পাটক্ষেতে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্র এহতেশাম মাহমুদ রাতুল (১৮) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হওয়ায় বদলা নিতে শ্যালককে হত্যার পরিকল্পনা করে আপন ভগ্নিপতি শিশির আহমেদ।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রীর ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে গাঁজা সেবন ও কোমলপানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করায় শ্যালককে। একপর্যায়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পাটক্ষেতে ফেলে রেখে যায়।
শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন যশোর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১২ জুলাই চৌগাছা উপজেলার লস্করপুর শ্মশান মাঠে পাটক্ষেত থেকে মুখে স্কচটেপ মোড়ানো রাতুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার হলেও পরবর্তীতে স্বজনরা শনাক্ত করেন। নিহত এহতেশাম মাহমুদ রাতুল মহেশপুর উপজেলার বাজিপোতা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় সামবাজার এমপিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাতুলের আপন ভগ্নিপতি শিশির আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, পরিহিত বস্ত্র ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
প্রেস বিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত শুক্রবার চট্টগ্রামের সিএমপি বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি শিশির আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে ওই রাত সাড়ে ৯টার দিকে যশোরের চৌগাছা থানার লস্করপুর শ্মশান মাঠে ঘটনাস্থলের অদূরে একটি পাটক্ষেত থেকে ভিকটিমের পরিহিত বস্ত্র ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত স্কচটেপ ও হ্যান্ড গ্লাভস উদ্ধার করা হয়।
একই দিন ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানাধীন কাশিপুর গ্রামে গ্রেফতার আসামির বসতবাড়ি থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশির আহমেদ জানান, তার শ্বশুর (নিহতের বাবা) একদিন বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে অপমান অপদস্ত করেন। এতে শিশির ক্ষুব্ধ হন। সেই থেকে শ্বশুরের একমাত্র ছেলে রাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ভিকটিমের বোনের (আসামির স্ত্রী) মোবাইল ফোন দিয়ে রাতুলকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে নিয়ে যান।
গাঁজা সেবন ও কোমলপানীয়ের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করায়। একপর্যায়ে রাতুলের নাক-মুখে স্কচটেপ মুড়িয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। রাতুলের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে মরদেহ গুম করার জন্য ফেলে রাখে ও ভিকটিমের গায়ের কাঁপড় খুলে ঘটনাস্থলের পাশে আরেকটি পাটক্ষেতে ফেলে রাখে। ভিকটিমের মোবাইলটি সিম খুলে আসামির বসতঘরে ইটের নিচে পুঁতে রাখে।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) বেলাল হোসাইন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার, ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply