২৫ জুলাই বিশ্ব পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস : কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা

২৫ জুলাই বিশ্ব পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস : কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু

  • শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১

Manual7 Ad Code

সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কুড়িগ্রাম জেলায়, বিভাগের মধ্যে মৃত্যুতে এগিয়ে চট্টগ্রাম

এইবেলা ডেস্ক ::

কুড়িগ্রাম জেলায় পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে। ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি হতে এ বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের দরিদ্রতম ও বন্যাপ্রবণ এ জেলায় অন্তত ৬৩ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। নিহতদের ৪৫ জনের বয়স নয় বছরের কম। পারিবারিক সদস্যদের অগোচরে এসব শিশুরা পানির সংস্পর্শে গিয়ে মৃত্যু বরণ করে। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন নারী ও কন্যা শিশু এবং ৩৭ জন পুরুষ ও ছেলে শিশু। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৮ জন বন্যার পানিতে ডুবে মারা যায়।

Manual4 Ad Code

অন্যদিকে ৮ বিভাগের মধ্যে গত ১৯ মাসে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ সময়ে এ বিভাগের সবগুলো জেলায় অন্তত ২৭১ জন পানিতে ডুবে মারা যায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ২২৮টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে।

কুড়িগ্রাম ছাড়া এ সময়ে আরো ১৭টি জেলায় অন্তত ৩০ জন বা তার বেশি সংখ্যাক মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এর মধ্যে নেত্রকোনায় ৫৪ জন, কিশোরগঞ্জে ৪৩ জন, চট্টগ্রামে ৪২ জন, পটুয়াখালীতে ৩৯ জন এবং দিনাজপুর ও সিরাগঞ্জে ৩৭ জন করে মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। অন্যদিকে শরিয়তপুর জেলায় পানিতে ডুবে সবচেয়ে কম মানুষের মৃত্যু ঘটে। গত ১৯ মাসে এ জেলায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। কম মৃত্যুর দিক থেকে নড়াইল, মাগুরা, বান্দরবান, রাজবাড়ী ও খুলনা জেলাও রয়েছে। এসব জেলায় উল্লেখিত ১৯ মাসে মৃত্যু ছিল ২ থেকে ৫ জনের মধ্যে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এরকম চিত্র দেখা গেছে। গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রবণতা বিশ্লেষণ করে আসছে।

Manual8 Ad Code

সমষ্টি’র বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, গত ১৯ মাসে (এ বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত) ৯৬৭টি ঘটনায় ১ হাজার ৫৬২ জন পানিতে ডুবে অথবা নৌযান দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৩২ জন পানিতে ডুবে এবং ১৮০ জন নৌযান দুর্ঘটনায় ডুবে বা আহত হয়ে মারা যায়। উভয় ঘটনায় মৃতদের ১ হাজার ৫৬ জনের (৭০ শতাংশ) বয়স ১০ বছরের কম। পানিতে ডুবে মৃতদের মধ্যে নারী ও কন্যা শিশু ৫৪৯ জন (৩৬%), পুরুষ ও ছেলে শিশু ৯৫৭ জন (৬ জন)। গণমাধ্যম সংবাদ থেকে ৬ জনের লৈঙ্গিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাগুলোর জাতীয়ভাবে কার্যকর তথ্যায়ন ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ ঘটনাই গণমাধ্যমে উঠে আসে না। ফলে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যায় না। পানিতে ডুবে মৃত্যু নিয়ে জাতীয়ভাবে সর্বশেষ জরিপটি হয়েছে ২০১৬ সালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ পরিচালিত ওই জরিপে তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতিবছর সব বয়সী প্রায় ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এদের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি অর্থাৎ আনুমানিক ১৪ হাজার ৫০০ জনই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু। অন্যভাবে বলা যায়, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের শিশুরা পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন, অর্থাৎ বছরে প্রায় ১০ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশের কারণ পানিতে ডুবে মারা যাওয়া।

সমষ্টি’র গবেষণায় দেখা যায়, গত ১৯ মাসে নৌযান দুর্ঘটনা বাদে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম বিভাগে, ২৭১ জন (২০%)। এছাড়া ঢাকায় ২২৮ জন, রংপুরে ২০১, রাজশাহীতে ১৮৫, ময়মনসিংহে ১৪১, বরিশালে ১২৭, খুলনা বিভাগে ১০৮ জন মারা যায়। এ সময়ে সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে, ৭১ জন (৫%)।

Manual6 Ad Code

পানিতে ডুবে মৃতদের ৯১ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের কম। চার বছর বা কম বয়সীদের মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু সবচয়ে বেশি, ৫৬২ জন (৪২%)। ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৪৬২ জন (৩৫%), ১০-১৪ বছরের ১৫২ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৩৮ জন। ১১৮ জনের বয়স ছিল ১৮ বছরের বেশি।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ সময়ের মধ্যে পানিতে ডোবার ৭৯ শতাংশ ঘটনা ঘটে দিনের বেলায়। দিনের বেলায় শিশুরা পানির সংস্পর্শে বেশি যায়। দিনের প্রথম ভাগে অর্থাৎ সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ৫৩৭ জন (৪০%) এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যার আগে ৫১৭ (৩৯%) জন মারা যায়। তবে রাতেও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সন্ধ্যা বা রাতে ২৬৫ (২০%) জনের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে ১২ জনের পানিতে ডোবার সময় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বর্ষাকাল ও এর আগে-পরের মাসগুলোতে (জুন-অক্টোবর) পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৩২ জন মারা যায় আগস্ট মাসে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল জুলাই মাসে ১২৪ জন। এ বছরের জুলাই মাসে (২৩ জুলাই পর্যন্ত) ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে মে ও জুন মাসেও শতাধিক করে মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ দুই মাসে যথাক্রমে ১১৪ ও ১৪২ জন পানিতে ডুবে মারা যায়।

পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরাদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। পানিতে ডুবে ১ হাজার ৩৩২টি মৃত্যুর প্রায় ৯৭ শতাংশ (১,৩০৫) ঘটে পরিবারের অন্য সদস্যদের অগোচরে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

একই পরিবারের একাধিক সদস্য পানিতে ডুবে মারা গেছে। গত ১৯ মাসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়Ñ ১০৯টি পরিবারের ২৪৫ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়। যাদের মধ্যে শিশুর সঙ্গে ভাই অথবা বোনসহ ১২১ জন, বাবা-মাসহ ১৬ জন, দাদা-দাদি বা নানা-নানিসহ ৮ জন, চাচাত বা খালাতো ভাই বা বোনসহ ৮৫ জন, চাচা-খালাসহ ১৫ জন মারা যায়। উৎসব বা অন্য কোনো সময়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে একই পরিবারের বেশিরভাগ শিশু মারা যায়।

Manual1 Ad Code

পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস

এ বছর ২৮শে এপ্রিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রথমবারের মতো পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ বিষয়ক একটি ঐতিহাসিক রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘ ২৫শে জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর বিষয়টি একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে অধিকতর গুরুত্বারোপ করেছে। সরকার ও দাতা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পাইলট ভিত্তিতে কয়েকটি জেলায় কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। শিশু সুরক্ষার জন্য দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ বিষয়ে ডিপিপি (ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) প্রণয়ন করা হয়েছে। ডিপিপিটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

Deprecated: Function WP_Query was called with an argument that is deprecated since version 3.1.0! caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!