বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
হাকালুকি হাওরের সরকার ঘোষিত অভয়াশ্রম বিলগুলো থেকে স্থানীয় অসাধু চক্র নিষিদ্ধ জাল দিয়ে নির্বিচারে মা মাছসহ পোণামাছ নিধন করছে। সোমবার থানা পুলিশ ও বিজিবি নিয়ে হাওরে ৭ ঘন্টা মোবাইল কোর্ট করেছেন বড়লেখা ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। এসময় দেড় শতাধিক মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। বিকেলে জনসম্মুখে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, এশিয়ার সর্ববৃহৎ জলাভূমি হাকালুকি হাওরটি এখন বিল ও মাছখেকো সিন্ডিকেটের কবলে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোপূর্বে সরকার হাওরের বেশ কয়েকটি বিলের ইজারা স্থগিত রেখে অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। কিন্তু সরকারের এ উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে হাওরপাড়ের অসাধু চক্রের কালো থাবায়। কঠোর লকডাউনের মধ্যেও ৪০-৫০ জনের একেকটি দল হাকালুকির পলোভাঙ্গা মরা সুনাই চিকনউটি বদ্ধ অভয়াশ্রম জলমহাল, পোয়ালা, মাইসলা, জলা, ফার জলা, বালিজুরি, পিংলা বিলে দিনে-রাতে বিভিন্ন ধরণের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকারে নেমে পড়ে। হাকালুকির বিভিন্ন বিলে প্রায় অর্ধশত মা ও পোনামাছ নিধনকারী দল অবৈধ জাল নিয়ে সন্ধ্যায় মাছ ধরতে হাওরে ঢুকে পড়ে। সারা রাত চক্রটি মাছ শিকার শেষে ভোরের দিকে হাওর থেকে বেরিয়ে যায়।
এতে হাকালুকির বিস্তীর্ণ জলাভূমিতে নানা প্রজাতির মা মাছ যখন বংশ বিস্তারে তৎপর, তখনই অবৈধ শিকারিদের ফাঁদে মারা পড়ে ডিমওয়ালা মাছ। ফলে দ্রুত দেশিয় মাছের বংশ বিলুপ্ত হচ্ছে। শিকারিদের কবল থেকে বেঁচে যাওয়া মা মাছ ডিম ছাড়ার পর নিষিদ্ধ কাপড়ি জাল, কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন অবৈধ জাল দিয়ে অসাধু জেলেরা পোনামাছ আহরণ করছে।#
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, হাকালুকি হাওরে নিষিদ্ধ জালে মাছ শিকারের অভিযোগ পেয়ে সোমবার প্রায় ৭ ঘন্টা হাওরে মোবাইল কোর্ট করেন। এসময় মাছ ধরায় ব্যবহৃত প্রায় ১০৫ মিটার অবৈধ বেড়জাল ও ৫০/৬০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেন। পরে জব্দ অবৈধ জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।#
Leave a Reply