এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া রাবেয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী আনিকা খানম কনার জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তার পিতা। হার্টে ছিদ্র নিয়ে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের সিসিইউতে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার বাবা দরিদ্র হোটেল (ফাল্গুনি হোটেল) শ্রমিক আাশিক খানের পক্ষে ব্যয় বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া দু:সাধ্য হওয়ায় দেশ ও প্রবাসের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
কুলাউড়া শহরের টিটিডিসি এলাকার বাসিন্দা আনিকার পিতা আশিক খান জানান, গত ০৩ সেপ্টেম্বর আনিকার প্রচন্ড জ¦র হলে তাকে প্রথমে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সিলেট ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং শেষতক সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসমানী হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তার হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তারদেও পরামর্শক্রমে আনিকাকে ঢাকাস্থ মিরপুর হার্টফাউন্ডেশনে সার্জাারির জন্য পরামর্শ দেন। দরিদ্র হিসেবে সেই সার্জারির খরচ পড়বে কমপক্ষে চার লাখ টাকা।
এদিকে গত ০৬ সেপ্টেম্বর থেকে ওসমানী হাসপাতালের সিসিইউতে থাকা আনিকার ঔষধসহ চিকিৎসা ব্যয় হাসপাতাল থেকে দেয়া হচ্ছে। তারপরও চাকরি ছেড়ে আনিকার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে ইতোমধ্যে প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। দরিদ্র বাবার পক্ষে আর চিকিৎসা চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুধু আনিকা নয় তার আরও ৩ বোনের লেখাপড়াও সংসার খরচ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
আনিকা আবার স্কুলে ফিরতে চায়। হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে স্কুলে ফেরার আকুতি নিয়ে। সমাজের বিত্তবানদের সামান্য সহযোগিতায় আনিকা ফিওে পাবে আবার নতুন জীবন। আবার স্কুলের আঙিনায় পড়বে তার সরব পদচারণা। তাই আসুন আনিকার পাশে দাঁড়াই।
যারা আনিকার জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে চান তারা ০১৭৪৩৭৩৮৪৩৪ এই বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে পারেন। এটি আনিকার পিতা আশিক খানের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বার।#
Leave a Reply