নিজস্ব প্রতিবেদক:- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা ।
কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ অক্টোবর) কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ইতিহাস বিভাগে পাঠদানের সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে শ্রেণিকক্ষে কথা বলেন কলেজের শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম। তিনি বোরখা পরে কলেজে আসতে বাধা দেওয়াসহ টাকনুর নিছে প্যান্ট পরতে নির্দেশনা দেন।এবং ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে স্পর্শকাতর মন্তব্য করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কলেজের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান হোসাইন জানান, ‘ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করায় আমরা বিচলিত হয়েছি । এ নিয়ে ধর্ম অবমাননা প্রসঙ্গে আমরা অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি’।
বার বার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করায় বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর ) কলেজের শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেছে শিক্ষার্থীরা । এছাড়াও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
লংলা আধুনিক ডিগ্রী কলেজের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এর আগেও মাজহারুল ইসলাম শ্রেণীকক্ষে বেশ কয়েকবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কথা বলেছেন ।
শিক্ষার্থীরা কি ধরনের বোরখা পরে কলেজে আসতে পারবেন এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বক্তব্যের সাথে মিল নেই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমানের ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আমি কলেজের ড্রেস কোড অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বোরখা পরতে নির্দেশনা দেই । কলেজের ড্রেসের সাথে মিল রেখে বোরখা পরার রেজুলেশন রয়েছে । আমি সেই নির্দেশনা শিক্ষার্থীদের দিয়েছি “।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা যে কোনো ধরনের বোরখা পরে কলেজে আসতে পারবে । এতে কলেজের নিজস্ব আইন অনুযায়ী কোনো বাধা নেই । বরং আমরা শিক্ষার্থীদের বোরখা পরে আসতে উৎসাহিত করি ।কলেজের শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো ।
Leave a Reply