প্রেসক্লাব কুলাউড়া’র মতবিনিময় অনুষ্ঠান
এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত দু’বারের সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন বলেন, গত ৪৫ বছর থেকে সর্বদা কুলাউড়ার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। কখনও সংবাদপত্র, কখনও সংগঠন, কখনও রাজনীতির মাধ্যমে। আমার এ দীর্ঘ পথচলায় আমি সবসময় একটি সমাজকে কাছে পেয়েছি, তারা হলেন সাংবাদিক সমাজ। সাংবাদিকরাই তাদের লিখনীর মাধ্যমে আমাকে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। আমি সাংবাদিকদের কাছে চিরঋনী।
গত ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসক্লাব কুলাউড়ার আয়োজনে স্থানীয় এক অভিজাত হোটেলে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাবকুলাউড়ার সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আবু সাঈদ ফুয়াদের উপস্থাপনায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে এম এম শাহীন প্রেসক্লাব কুলাউড়ায় ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও সাংবাদিকদের পেশাগত মানউন্নয়নের লক্ষ্যে পিআইবির মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন এবং সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে সরকারী সহযোগীতার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এসময় এম এম শাহীন তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন,আমেরিকার বিলাশবহুল জীবন ত্যাগ করে ৩২ বছর বয়সে দেশে ফিরে এসে কুলাউড়ার মানুষের সুখ-দু:খের সাথী হয়ে কাজ করেছি। কুলাউড়াবাসীও আমাকে দ্ইুবার এমপি বানিয়েছেন। অনেক বাঘানেতাকে পরাজিত করে আমাকে ভোট দিয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোটও পেয়েছি। কিন্তু মানুষের আমানতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। কিন্তু কিছু নেতা আছেন এরা কুলাউড়ায় আসেন মানুষের ভোট নিতে। নির্বাচিত হয়ে আবার চলে যান ঢাকায়। এরা দু:সময়ে মানুষের কথা ভাবেন না।
তিনি বর্তমান সাংসদকে ইঙ্গিত করে বলেন, মানুষের আমানত নিয়ে গত ২ বছর থেকে কুলাউড়ায় না এসে মানুষের সাথে প্রতারনা করছেন। তাকে ভোট দিয়ে মানুষ এখন অপমানিতবোধ করছেন। তিনি ঢাকায় বিয়েতে যাচ্ছেন,সংসদে যাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায় যাচেছন কিন্তু কুলাউড়ায় আসছেননা। ১২ জন খলিফা দিয়ে কুলাউড়ার মানুষকে ধোকা দিয়ে চলছেন। ভোট মানুষ আপনাকে দিয়েছে ,না ঐ ১২ জন খলিফাকে দিয়েছে। এম এম শাহীন আরও বলেন,যার জম্ম কুলাউড়ায় নেই,যার স্কুল জীবন কুলাউড়ায় নেই তার কুলাউড়ার প্রতি অবজ্ঞা থাকাটাই স্বাভাবিক। বিগত ৩ বছরে এমপির দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছে। কার খবর নিয়েছেন প্রশ্ন রাখেন এম এম শাহীন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্রাচার্য সজল, লংলা আধুনিক মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান চন্দন, নবীন চন্দ্র মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন, মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফয়জুর রহমান ছুরুক, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার প্রতিষ্টাতা সভাপতি স্বপন কুমার দেব রতন, বিশিষ্ট সমাজসেবক হাবিবুর রহমান টুটু।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কবি ও সাহিত্যিক ইব্রাহিম খলিল, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি এম মছব্বির আলী, প্রেসক্লাব,কুলাউড়ার সিনিয়র সহ সভাপতি ময়নুল হক পবন, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মোক্তাদির হোসেন, এম এম শাহীনের পুত্র রাফিদ শাহিন ও ডেইলি ষ্টারের প্রতিনিধি মিন্টু দেশওয়ারা, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার নির্বাহী সদস্য বিশ্বজিৎ দাস, সাংবাদিক আশীষ কুমার ধর, প্রেসক্লাবকুলাউড়ার সাংগঠনিক সম্পাদক আলাউদ্দিন কবির, যুগ্ন সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম চৌধুরী, আজকের পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি এস আলম সুমন, কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল, সমকাল প্রতিনিধি সৈয়দ আশফাক তানভীর, দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি এইচ ডি রুবেল, প্রিয় কুলাউড়ার সম্পাদক একেএম জাবের, দৈনিক জাগরন প্রতিনিধি এনামুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সদস্য সদ্য প্রয়াত মরহুম শাকির আহমদ স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। #
Leave a Reply