এইবেলা , কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ৪ গ্রামের মানুষের মধ্যে বাঘের আতঙ্ক দেখা দেয়ায়। ০৮ নভেম্বর সোমবার বেলা ৩টায় ওই এলাকা পরিদর্শন করে মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের নেতৃত্বে একটি দল। পরিদর্শন শেষে পায়ের চাপ দেখে পরিদর্শণকারী দল নিশ্চিত হন কযেকদিন থেকে ওই এলাকায় বিচরণ করা প্রাণী বাঘ নয় মেছো বিড়াল ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাতরা এলাকার আশপাশে বিগত কয়েকদিন থেকে বাঘ আকৃতির একটি প্রাণী মানুষের গৃহপালিত পশু-পাখি ও মানুষকে আক্রমণের খবর পত্রিকায় প্রকাশ হলে বন অধিদপ্তর, বন্য প্রাণী বিভাগ মৌলভীবাজারের এই দলটি ওই স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা মেছো বিড়ালের আক্রমণে মৃত ছাগলের মালিককে ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করেন।
পরিদর্শনে অংশ নেন মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র, টোকিও মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটি অব জাপানের সহকারী অধ্যাপক ও ফিশিং ক্যাট গবেষক ড. আই সুজুকি, মৌলভীবাজার রেঞ্চ কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ারসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।
মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজ ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে পায়ের চাপ দেখে নিশ্চিত হতেে পেরেিেছ যে এটা বাঘ নয়, মেছো বিড়াল। মেছো বিড়াল সাধারণত হাওর এলাকা বা পুকুরের আশপাশে থাকে। মেছো বিড়াল খাদ্য হিসেবে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোগ করে মাছ ও ইঁদুর । আর এখানে এসে শুনলাম ছাগল ও রাজহাঁস মেরেছে। তা অনেক সময় হয়ে থাকে। তার কারণ মেছো বিড়াল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন খাবারের সংকট দেখা দিলে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।
মেছো বিড়াল যে স্থানে থাকে তার আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার জাযগায় বিচরণ করে থাকে। তবে এরা মানুসের কোনো ক্ষতি করে না। তাই এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। মেছো বিড়াল এ আচরণ বেশি দিন করে না। তাই কয়েকদিন গৃহপালিত পশু-পাখি খেযাল করে রাখার আহবান করেন।
প্রত্যেক প্রানী কোনো কোনো ভাবে আমাদের উপকারে আসে। পরিদর্শন দল উপস্থিত সবাইসহ এলাকার সবার প্রতি অনুরোধ করেন জেনো কোনো বন্য প্রানী হত্যা না করেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply