এইবেলা কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ১৩ টি ইউনিয়নে ১৩০ ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫ টিতে নৌকা সমর্থকদের হামলা ব্যালট বাক্স ভাঙচুরসহ বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ ছাড়া বাঁকী কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের ফেসবুক আইডিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
২৮ নভেম্বর রোববার সকালে কুলাউড়া উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের তারাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৩ লাইনে নারী পূরুষদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সকাল ১১টার সময় উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন দলের নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা প্রথমে হামলা চালায় ৫নং বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে এবং ৬ নং নন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালায়। নৌকা বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী খোরশেদ আলম খান সুইট অভিযোগ করেন, নৌকার প্রার্থী আবুল হোসেন খসরুর নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা দু’টি কেন্দ্রে নগ্নভাবে হামলা চালায়। বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট ভর্তি ব্যালট বাক্স ভেটে ব্যালট ছিড়ে ফেলে দেয়। পুকুরে এবং রাস্তায় ফেলা হয় সিল মারা ব্যালট। দু’টি কেন্দ্রে প্রায় এক ঘন্টা ভোট বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু ফের আর ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে ফেরেননি ভোটাররা।
নৌকার কর্মি সমর্থকদের ছোড়া ইটপাটকেলে ভোট দিতে আসা নন্দনগর ও আকিলপুর গ্রামের প্রায় ২০-২৫জন ভোটার আহত হন।
নন্দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রাজিবুল হাসান জানান, ঘটনার আকষ্মিকতায় তিনি বিধ্বস্থ হয়ে পড়েন। বাইরে থেকে ভোটারদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।
বরমচাল ইউনিয়নের দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার ও কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার জানান, উভয় পক্ষের প্রার্থী সমর্থকদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার প্রায় এক ঘন্টা পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এসব কেন্দ্রের দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার জানান, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর প্রার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে বেলা প্রায় আড়াইটায় উপজেলার কানেহাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালানোর কারণে ৪০ মিনিট ভোট বন্ধ ছিলো। এছাড়া কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের শাহ সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয় ও হোসেনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও করের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে নৌকার প্রার্থীদের নগ্ন হামলা ও জাল ভোট দেয়ার ঘটনায় কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের আ’লীগ বিদ্রোহী নার্গিস আক্তার বুবলী’র প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও তার স্বামী মো. শাহজাহান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেন। এছাড়া কাদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সালাম তার ফেইসবুক লিখেন, নাটকীয় নির্বাচনকে বর্জন করলাম।
এইবেলা/জেএইচজে
Leave a Reply