এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সোমবার ১০ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বামীকে প্রবাসে পরিকল্পিতভাবে হত্যা এবং সেই হত্যাকারীর স্বজনরা প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ফলে তিনি স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ২ সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িসহ বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে নিহত আমিরুল ইসলাম সিমু চৌধুরীর স্ত্রী অসহায় মোছা. রোজিনা আক্তার দুই সন্তান সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে কাতারে ঘরের ভেতর একই গ্রামের বাসিন্দা আব্বাস আলীর চারপুত্র উজ্জল, খায়রুল, আজহারুল ইসলাম ও খছরু মিলে গত বছরের ০৪ এপ্রিল হত্যা করে। স্বামীর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর খোঁজ নিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন রোজিনা। ঘটনার ৭দিন পর স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ ফোনে জানান উজ্জল গংরা। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ গোপন রেখে ৭ দিন পরে তাদেরকে জানানোর জন্য সিমুর পরিবার সন্দেহ করছেন ওরা চার ভাই মিলে সিমুকে হত্যা করে। তখন করোনাকাল থাকায় তারা হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে চালিয়ে জানানো হয়। মৃত্যুর ৯দিন পর নিহত সিমুর লাশ দেশে পাঠান উজ্জল ও তার ভাইয়েরা।
এদিকে ১৩ এপ্রিল কাতার থেকে দশেে লাশ আসার পর আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করলেও তারা তা না করে দ্রুত লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে ফেলে। বাড়িতে তিনি মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে একাকিত্বভাবে অসহায় অবস্থায় পড়ায় তাদের কোন কথা কর্নপাত করেনি উজ্জলের পরিবার। ওইদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব আলী ও চানঁপুর গ্রামের নাসির উদ্দিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগনের সম্মুখে একটি অঙ্গিকারনামা করে তার স্বামীর লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। অঙ্গিকারনামায় লেখা ছিল মৃত্যুর ৪০দিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলী ও ইউপি সদস্য মখদ্দুছ আলীসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে উচিত বিচার করে দিবেন। পরে গত ২৩ জুলাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আলীর সভপতিত্বে গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতে বৈঠকে সিদ্বান্ত হয় তাদের ভরণপোষন বাবত নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। কিন্তু অদ্যাবদি সেই টাকা পরিশোদ করেনি উজ্জলের পরিবাররা। কিছুদিন আগে উজ্জলদের নিকট আত্বীয় শায়েদ মিনহাজ সিদ্দিকী পল্লব ও নাসির উদ্দিন একলক্ষ টাকার চেক নিয়ে আসলে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি। বর্তমানে নাবালক দু’াট সন্তান ফাহমিদা আক্তার চৌধুরী (১৫) ও রিয়াদুল ইসলাম চৌধুরী (১০) কে নিয়ে বিধবা রোজিনা আক্তার অসহায়ত্ব দিনযাপন করছেন।
শুধু তাই নয় উজ্জলের আত্মীয় স্বজনরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য বাবার বাড়িসহ আত্মীয় স্বজরে বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এব্যাপারে প্রবাসী উজ্জলের চাচাতো নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক। যারা এতিম হয়েছে সেই ছোট ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ আমরা পর্যায়ক্রমে দেখবো। এনিয়ে কেউ যদি গেইম খেলে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।
স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব আলীর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply