কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশ শীতার্ত মানুষ পেলো কম্বল – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করবে বেতন কমিশন কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা সংস্কৃতির চর্চাঃ সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা সুনামগঞ্জ–৫ আসনে আচরণবিধি মানতে ধানের শীষের প্রার্থীর উদ্যোগে ব্যানার পোস্টার অপসারণ কার্যক্রম বড়লেখায় প্রবাসীর সাথে প্রতারণা- ফ্রান্সে নেওয়ার পর জানলেন নিজের স্ত্রী অন্যের, শ্বাশুড়ি শ্যালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাতকের ‘শিখা সতেরো’—৫৪ বছরের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জের- বড়লেখায় বিভিন্ন পয়েণ্টে বিজিবির বিশেষ টহল, তল্লাশি অভিযান বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান

কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশ শীতার্ত মানুষ পেলো কম্বল

  • শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

Manual8 Ad Code

মাহফুজ শাকিল ::

ঘরো আমার দুই বাচ্চা বড়, শীতের রাইত একটি কম্বল দিয়ে কাটাইতে অইতো (হতো)। এখন আরেকটা কম্বল পাইছি বসুন্ধরার পক্ষ থাকি। আমার বাচ্চাইনতে (সন্তানরা) এখন আরামে (শান্তিতে) শীতের মাঝে রাতে ঘুমাইতে পারবো। বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল উপহার পেয়ে এমন কথাটি বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কৌলারশি গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সোয়াব আলী (৫০)। তাঁর মতো রুপজান বেগম (৬৫) ও তোহরা বেগম (৫৫) কম্বল পেয়ে বলেন, ‘রেল স্টেশনের একটা পরিত্যাক্ত ঘরে থাকি। শীতের মাঝে খুব কষ্ট হয়। কম্বল পাওয়ায় এখন রাত্রে আরামে ঘুমাতে পারবো। খুবই শান্তি লাগছে।’

১১ বছরের জিল্লুর বলেন, হারাদিন কাইজ করে রাইত্রে ইস্টিশনের প্লাটফর্মে ঘুমাই। শীতের জন্য ঘুমাইতে কইষ্টো হইতো। এখন কম্বল জুইড়া ঘুমাইতে পারুম।

Manual4 Ad Code

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় ও দৈনিক কালের কণ্ঠ শুভসংঘর কুলাউড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে কুলাউড়ায় পত্রিকার হকার, রিকশা শ্রমিক, হরিজন, রবিদাস, নরসুন্দর, চা-শ্রমিকসহ সাড়ে তিনশত শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

Manual5 Ad Code

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পৌর শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে শুভসংঘ কুলাউড়ার সভাপতি উপাধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শামীম আল মামুন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল, কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, জেলা সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি এম মছব্বির আলী, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল রহমান আখই, মৌলভীবাজার জেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক তাকবীর হোসাইন মান্না, কুলাউড়া শুভসংঘের সাধারন সম্পাদক মহি উদ্দিন রিপন প্রমুখ।

Manual7 Ad Code

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি বয়তুল আলী, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য শরীফ মাহদি আশরাফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম শুভ, দৈনিক আজকের পত্রিকার কুলাউড়া প্রতিনিধি এস আলম সুমন, কুলাউড়া শুভসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিদা আক্তার সেবিন, ক্রীড়া সম্পাদক রুমেল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

Manual8 Ad Code

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় ও ভূমি এবং গৃহহীন মানুষকে ঘর দিয়েছেন। করোনার সংকটের সময় সরকারের পক্ষ থেকে কর্মহীন অসহায় মানুষকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় বসুন্ধরা গ্রুপ যে কোন দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সহায়তা করতে চায় তাহলে রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তাদের সাথে স্বমন্বয় করে কাজ করে যাবো। ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী আরো বলেন, ইতোমধ্যে জনপ্রিয় দৈনিক কালের কণ্ঠের পাঠক সংগঠন শুভসংঘের কার্যক্রম আমাদের উপজেলায় বেশ প্রশংসনীয়। শিক্ষা, সংস্কৃতির বিকাশের পাশাপাশি মানবিক সহায়তায় শুভসংঘ অবদান রাখছে। আজকে কুলাউড়ায় সাড়ে তিনশো শীতার্ত মানুষকে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সাথে স্বমন্বয় করায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সুবিধাবঞ্চিত যারা কম্বল পাননি আজ তারাও পেয়েছেন। বসুন্ধরা গ্রুপ আগামীতেও শুভসংঘের মাধ্যমে অসহায় মানুষের জন্য সহায়তার হাত আরো প্রসারিত করবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া কম্বল পেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা লোকজন অনেক খুশি হয়েছে। তারা সবাই বলেন, বসুন্ধরার মালিকের জন্য মন খুলে দোয়া করি, এই শীতের সময় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কথা তিনি চিন্তা করেছেন। তিনি যেন সবসময় ভালো থাকেন, আল্লাহ পাক উনার মঙ্গল করবেন। কম্বল হাতে পেয়ে পৌর এলাকার ফাতেমা বেগম (৫৫), রুপিয়া বেগম (৪৫) বলেন, আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছি। স্বামীরা রিকশা চালিয়ে কোনমতে সংসার চালাচ্ছে। শীতের কম্বল কেনার কোন সামর্থ্য নেই। কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়েছে। বসুন্ধরার দেয়া এই শীতবস্ত্র পেয়ে এখন শীতের তীব্র কষ্ট থেকে কিছুটা রক্ষা পাবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!