এইবেলা কুলাউড়া :: কুলাউড়া পৌরসভার লস্করপুরে নিরীহ এক পরিবারের কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের জায়গা জবরদখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এনিয়ে জবরদখলকারীরা একাধিকবার সালিশ বৈঠকে হাজির না হয়ে টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্টো মিথ্যে মামলা দিয়ে ভুক্তভোগি পরিবারকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কুলাউড়া পৌর মেয়র বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন উত্তরাধিকারসুত্রে সম্পত্তির মালিক মো: আব্দুল কাদির।
লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, কুলাউড়া পৌরসভার লস্কুরপুর গ্রামের কাছিমনগর মৌজার ৯০০ নং খতিয়ানের,৩০৪৩,৩০৪৪,৩০৫৫,৩০৫৬ ও ২৫৩৩ নং দাগের জায়গার ষোলআনা মালিক হলেন সমিজা বিবি। সমিজা বিবি মারা যাওয়ার পর ত্যাজ্যবিত্তে তার পুত্র আব্দুল কাদির একই গ্রামের মানিক মিয়া,মামুন মিয়া ও আব্দুর রবের পিতা মরহুম আব্দুল মজিদের নিকট দুই দলিলে ২৫ শতক ভুমি বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু মৃত আং মজিদ চতুরতার আশ্রয় নিয়ে কৌশলে জাল জালিয়াতি তরে উক্ত ২৫ শতক ভূমির সাথে আরও কিছু জায়গা জবরদখল করেন। এ নিয়ে বাধা বিপত্তি দিলে প্রায় সময় সম্পত্তির মালিক আং কাদিরের পরিবারবর্গের প্রতি প্রায় সময় মারধর করে ধামিয়ে রাখেন জবরদখলকারীরা।
এমনকি আং কাদিরের বড় ভাই মৃত কলা মিয়া জীবিত থাকাকালীন সময়ে মারধরের শিকার হন। তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করিলে জবরদখলকারীরা টালবাহানা দেখিয়ে বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। ফলে দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি সমাধান হয়নি।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল কাদির জানান, আমরা নিরীহ অসহায় ও একান্ত গরিব মানুষ। টাকা পয়সা নেই। সামান্য জায়গার মধ্যে কোনরকমে কষ্ট করে বসবাস করছি। অথচ আমাদের জায়গা তারা ( মৃত মজিদের পুত্ররা) জবরদখল করে আছে। আমি ন্যায় বিচার চাই। তিনি বলেন,জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করলেই জবরদখলকারীদের জালিয়াতি প্রমান হবে। তিনি পৌরমেয়রসহ সংশ্লিদের এব্যাপারে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল কাদির আরও বলেন, তিনি জায়গার দাবী করায় মামুন মিয়া আমিসহ আমার পরিবারের ৯ জনকে আসামী করে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি
এব্যাপারে মরহুম আব্দুল মজিদের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply