সালাউদ্দিন:কুলাউড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে দুর্বিষহ।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে গ্রামের সাধারণ ক্রেতারা।প্রায় দ্রব্যসামগ্রী এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে।নিম্ন আয়ের মানুষের সংসারে এখন হতাশার ছাপ বইছে।অল্প আয়ে তাদের সংসার ঠিকমতো চলে না।তার মধ্যেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।গ্রামের সাধারণ মানুষের ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জুটে না এখন পুষ্টিকর খাবার।উপজেলার কর্মধা,পৃথীমপাশা,হাজিপুর ও ভূকশিমইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অতি-দরিদ্র বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয়।তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে প্রায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে এবং তাদের অল্প আয়ে পরিবারের ভরণ-পোষণ বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমনটাই জানালেন তাঁরা।উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ খাসিয়া পুঞ্জিতে শ্রমিকের কাজ করে দৈনিক ২৫০-৩৫০ টাকা মজুরি পান।কেউ কেউ কাঠ মিস্ত্রি,রাজমিস্ত্রী,রং মিস্ত্রির কাজ করেন। আবার কেউ মৌসুমি পেশা পরিবর্তন করে মাটি কাটার কাজ করেন।
খাসিয়া পুঞ্জিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামের মো.মছদ্দর। তিনি জানান,’বর্তমানে পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হয়।আগের চাইতে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় পরিবারের ভরণ-পোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে’।ভাটেরা ইউনিয়নের সালেহ আহমদ জানান,আগের মতো মাছ-মাংস ক্রয় করতে পারি না।আয় কম কিন্তু দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় অনেক দিন থেকে মাছ-মাংস চোখে দেখছি না।২৫০-৩৫০ টাকায় দৈনিক মজুরির এসব শ্রমিকের বর্তমানে বেহাল দশা।এভাবে চলতে থাকলে তাদের অবস্থা নাজুক হওয়ায় আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
গ্রামের অনেক দোকানে আগে কোম্পানির লোকেরা তেল বিক্রি করতো।বর্তমানে কোম্পানির লোকেরা তেল বিক্রি করতে আসে না।হায়দরঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান,বর্তমানে কোম্পানির লোকেরা তেল দিতে পারছে না।আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গল থেকে নিয়ে এসে লাভ করতে পারবো না।ব্যবসায়ী হারুন মিয়া জানান,যে সকল পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো আগের মতো ক্রেতারা বেশি করে কিনে না।সবাই খুচরা নিতে চায়।খুচরা তেল,চিনি,আটা বিক্রি এখন বেড়েছে।গ্রামের সাধারণ ক্রেতারা ২০০-৫০০ গ্রাম হারে খোলা তেল বেশিরভাগ ক্রয় করছে।
গ্রামের বাজারগুলোতে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও অন্যান্য পণ্যের উচ্চমূল্যে হতাশ সাধারণ ক্রেতারা।চিনি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কিছুদিন আগেও চিনি বিক্রি হয়েছিল কেজি ৭৫ টাকা দরে।এছাড়া প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা,লম্বা বেগুন ৪০-৪৫ টাকা,টমেটো ৪০-৫০ টাকা,গাঁজর প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা,করলা ৭০-৮০ টাকা এবং চাল কুমড়ার পিস ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply