প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ ::
করোনা সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। গত ১ এপ্রিল থেকে ভারত বাংলাদেশের সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী যাতায়াত শুরু করলেও ভারতীয় ভিসা নিয়ে কুলাউড়া চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে কোন যাত্রী ভারতে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে ভারতের কৈলাশহরের মনু স্থল অভিবাসন কেন্দ্রে প্রতিদিন বাংলাদেশী ভিসাধারী যাত্রীরা অপেক্ষা করলেও চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র তাদের গ্রহন করছে না।
চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসেনি বলে তারা কোন যাত্রীকে ভারতে যেতে দিচ্ছেন না আবার ভারতের যাত্রীদের গ্রহন করছেন না।
ভারতীয় হাই কমিশন সিলেট ভিসা কেন্দ্র থেকে চাতলাপুর স্থল অভিভাসন কেন্দ্র দিয়ে ভারতে যাতায়াতের ভিসা গ্রহনকারীরা জানান, ভিসা পেয়ে তারা সোনালী ব্যাংকে ভ্রমণ কর পরিশোধ করে চেকপোস্টে গেলে চাতলাপুর অভিবাসন কর্মকর্তা তাদের ভারতে যেতে দিচ্ছেন না।
যাত্রীরা আরও বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অন্যান্য সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রীরা ভারতে যেতে পারলেও শুধুমাত্র এ পথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর কারণ জানতে চাইলে চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কর্মকর্তা জানান, তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন নির্দেশনা আসেনি।
চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে ভিসা গ্রহনকারী যাত্রী আব্দুস শুকুর বলেন, করোনার শুরুতেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের সাথে সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করেছিল। এখন আবার তারা সকল কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী যাতায়াত শুরু করেছে। তবে একমাত্র চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ভিসাধারী যাত্রীদের ভারতে যেতেও দিচ্ছেন না আবার ভারতীয় বাংলাদেশী ভিসাধারীদের গ্রহণ করছেন না।
চাতলাপুর স্থল অভিভাসন কেন্দ্রের অভিবাসন কর্মকর্তা নাসিমুল ইসলাম বলেন, এ পথে যাত্রী যাতায়াত শুরু করার তিনি কোন নির্দেশনা পাননি। তাই কোন যাত্রীকে তিনি বহির্গমণের অনুমতি দিচ্ছেন না। আবার ভারতীয় যাত্রীদের গ্রহণ করছেন না।
তবে চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র এলাকায় ভারতের মনু অভিবাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা নিরঞ্জন মজুমদার এ বলেন, বাংলাদেশের সাথে সকল স্থল অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে দুই দেশের ভিসাধারী যাত্রী যাতায়াত শুরু হয়েছে। তাই প্রতিদিন তাদের অফিসে বাংলাদেশী ভিসাধারী যাত্রী আসলেও চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র গ্রহণ করবে না জানালে তাদের বহির্গমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জের শমশেরনগর শাখা ব্যবস্থাপক রিপন মজুমদার বলেন, ভারতীয় ভিসা গ্রহণ করে যাত্রীরা আসার পর তাদের ভ্রমণ কর নিয়ে রসিদ দেওয়া হচ্ছে। এসব যাত্রী আবার চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্র থেকে ফিরে এসে যেতে পারেনি বলে অভিযোগ করছে।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, ভারতের সাথে সকল অভিাবাসন কেন্দ্র খোলা হলেও কেন চাতলাপুর দিয়ে যাত্রী ভারতে যেতে পারবে না। তিনি বিষয়টি খোঁজে দেখছেন বলেও জানান।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এ বিষয়টি পাসপোর্ট এন্ড ইমিগ্রেশন বিভাগের দেখার কথা। তারপরও তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ।#
Leave a Reply