এইবেলা, কুলাউড়া :: মোবাইল ফোনে প্রেম। প্রেমিকের পাঠানো সিএনজি অটোরিক্সা রিক্সায় চড়ে দেখা করতে আসেন কিশোরী প্রেমিকা। সেখানেই ঘটে দূর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক তারে ঝলসে গেছে শরীর। কুলাউড়া হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন কিশোরী। ০৭ মে শনিবার কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলার রানীমোড়া নামক গ্রামের বাসিন্দা জামাল মিয়ার মেয়ে সিপা বেগম (১৬) এর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা জীবন নামক ছেলের সাথে। বাস্তবে এই নামে কোন ছেলের সন্ধান মেলেনি। সেই সুবাদে প্রেমিক দেখা করতে একটি সিএনজি অটোরিক্সা পাঠান প্রেমিকাকে আনতে। প্রেমিকের পাঠানো সিএনজি অটোরিক্সায় চড়ে একই গ্রামের তানজিনা নামক খালাতো বোনকে নিয়ে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসেন সিপা বেগম। দেখা ও কথার একপর্যায়ে ঝগড়া বাঁধে উভয়ের মধ্যে। এক পর্যায়ে জয়চন্ডী ইউনিয়নর ভুমি অফিসের পেছন দিয়ে প্রবাহিত পল্লীবিদুতের ১১কেভি লাইনের উপর পড়েন সিপা বেগম। এতে বিকট শব্দে বিদ্যুৎলাইনে শব্দ হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনা দেখে স্থানীয় শিশুদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে সিপা বেগমকে উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সিপা বেগমের গলা থেকে কোমর পর্যন্ত বিদ্যুতের আগুণে ঝলসে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহত সিপা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেছেন।
তবে সিপা বেগমকে আনতে যাওয়া সিএনজি অটোরিক্সা ও তার খালাতো বোন তানজিনাসহ প্রেমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ফলে ঘটনার মূল রহস্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে কুলাউড়া থানার এসআই মহসিন খবর পেয়ে কুলাউড়া হাসপাতালে যান। তিনি জানান, সিপার দেয়া মোবাইল নাম্বার অনুসারে তার মা ও মামাকে খবর জানানো হলেও বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও পরিবারের কেউ আসেনি। আগত সিপা বেগমও অসলগ্ন কথাবার্তা বলছে। পরিবারের লোকজন এলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
Leave a Reply