এইবেলা, কুলাউড়া :: এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে হুৃহুৃ করে বাড়ছে পানি। সেই সাথে হাওর তীরবর্তী কুলাউড়া উপজেলায় ২২টি বন্যা অভয়াশ্রমে বানভাসি মানুৃষের ভীড় বাড়ছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র এবং দুর্গত মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১২ শত ৪০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুৃল। গত ৩দিন থেকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ অভুক্ত অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কুলাউড়া উপজেলায় মোট ৩৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৭ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় হাকালুকি হাওরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে রোববারের তুলনায় ২০ জুৃন সোমবার আশ্রয় কেন্দ্রে বানভাসি মানুষের ভীড় বাড়ছে। সোমবার ২০ জুন ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩৫ মেট্রিক চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, কেবলমাত্র কুলাউড়া উপজেলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে তবে বন্যা কবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ও ভুকশিমইল ইউনিয়নে গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, বন্যা কবলিত বিভিন্ন গ্রামে বেশিরভাগ মানুষ নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করছে। মানুষ কষ্ট শিকার করে হলেও বাড়িঘর ও মালামালের মায়ায় যাচ্ছে না আশ্রয়কেন্দ্রে। কুলাউড়া পৌরসভার প্রায় সবক’টি ওয়ার্ডে প্রচুর বাড়িঘরে মানুষ বন্যার পানির সাথে বসবাস করছেন।
কুলাউড়া উপজেলা ছাড়া হাকালুকি হাওর তীরের জুৃড়ী উপজেলার বেলাগাঁও ও ভাটিশাহাপুর এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কুলাউড়া শাহবাজপুর রেললাইনে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব এলাকার মানুষ জানান, এবারের বন্যা বিগত সকল বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। যারা এলাকায় এখন অবস্থান করছেন, তারা সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ পানীয় জলের শঙ্কটের পাশাপাশি স্যানিটেশন সমস্যায় পড়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত বেশিরভাগ এলাকায় গত ৩দিনেও কোন ত্রাণ পৌঁছায় নি।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply