এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের লাঘামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিক্ষুব্ধ ১০ মেম্বার। অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ না হলে অনাস্থা প্রস্তাবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানাবেন।
জানা যায়, কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মুহিবুর রহমান আজাদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের মেম্বারদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করেন। নানা অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বানাচ্ছেন বাড়ি, কিনেছেন গাড়ি।
গত ১৯ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৮টি বিষয়ে দুর্নীতির সুস্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজের ইচেছমত কর্মধা ইউনিয়নের ব্যাংক ভবনের দোকানকোটা ভাড়া দিচ্ছেন। এলজিএসপি প্রকল্পের প্রকল্প চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার হলেও চেয়ারম্যান কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে পুরো টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করছেন। জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং ইউনিয়নের আদায়কৃত ট্যাক্সের সিংহভাগ করেছেন পকেটস্থ। গভীর নলকুপ বরাদ্ধে অনিয়ম। ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডেও সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যকে নাজেহাল করেন। বিষয়গুলো তদন্ত হলেই প্রমানিত হবে বলে জানান মেম্বারগণ।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্তাপনকারী মেম্বারগণ হলেন মাহমুদা আক্তার, রায়না বেগম, নাজমিন নাহার, দিদারুল আলম, আব্দুল কাদির, সিলভেস্টার পাঠাং, হেলাল আহমদ, মুজিবুল হক হারুন, মো: দরছ মিয়া ও লছমি নারায়ন অলমিক।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মুহিবুর রহমান আজাদ জানান, মেম্বাররা বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিভিন্ন কারণে তবে উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। মেম্বারদেও শতভাগ দাবিদাওয়া পূরণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কারো ব্যক্তিগত দাবিদাওয়া পূরণ করাও সম্ভব নয়। একটা প্রকল্প পেলে সে ব্যাপারে সরকারের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হয়। এক সাথে ১২ জন মেম্বারকে প্রজেক্ট দেয়া সম্ভব নয়। আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি।#
Leave a Reply