এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ইন্ধনে এক নিরীহ ব্যবসায়ীকে পুলিশ হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি ওই নিরীহ ব্যবসায়ীর নিজের মালিকানাধীন একটি মোটরসাইকেল ও একটি পাওয়ার টিলার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার হিংগাজিয়া বাজারের ব্যবসায়ীও ভুক্তভোগী মো: আলমগীর হোসেন কুলাউড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী হিংগাজিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান,‘ তিনি একজন ফার্ণিচার ব্যবসায়ী। এর পাশাপাশি তিনি মাছের ফিসারী, কৃষিকাজ ও ইট বালু পরিবহনে নিয়োজিত ট্রলি গাড়ীর ব্যবসা করে থাকেন। সৎভাবে ব্যবসা করে ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র বদরুল হোসেন অপু, মনু মিয়ার পুত্র মানিক মিয়া ও আনার মিয়ার পুত্র জয়েল মিয়া তাকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতি সাধনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত।
আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হলো তাদের ভয়ে আমি যেনো ব্যবসা ছেড়ে দেই এবং আমার ব্যবসা প্রতিষ্টান তারা গ্রাস করবে। এর মধ্যে গত এক মাস পূর্বে হিংগাজিয়া বাজার থেকে মানিক মিয়ার একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়ে যায়। আর সেই ঘটনায় বখাটে ৩ জন আমাকে চুরির মামলায় জড়াতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। কিন্তু কোনভাবেই আমাকে জড়াতে না পেরে আমার ট্রলির ড্রাইভার নিরীহ রুবেল মিয়াকে চোর বানিয়ে পুলিশের কাছে ওরা (তিনজন) তুলে দেয়। এক পর্যায়ে জানতে পারি রুবেলকে মারধর করে মোটরসাইকেল চুরির সাথে আমি জড়িত রয়েছি বলে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে আমার ড্রাইভারকে ৫৪ ধারায় কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ।
চক্রান্তকারী ওই তিনজন কুলাউড়া থানার এসআই নৃপেশ দেবসহ গত ১১ জুন আমার বাড়িতে জোরপূূর্বক ঢুকে পুলিশের সামনেই তারা আামার একটি মোটরসাইকেলের লক ভেঙ্গে এবং বাজারে থাকা ট্রলি গাড়িটিও থানায় নিয়ে যায়। ’
আলমগীর অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘আদালতে মালামাল ক্রোকের নির্দেশনা ছাড়া পুলিশ আমার মোটরসাইকেল ও ট্রলি গাড়টি কিভাবে নিয়ে আসলো তা আমার বোধগম্য নয়। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে কোন মামলা নেই।’
এদিকে গত ২১ জুন তিন বখাটের বিচার ও পুলিশ কর্তৃক থানায় নেওয়া আমার মোটরসাইকেল ও ট্রলি ফেরৎ পাওয়ার জন্য একটি আবেদন নিয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে ভুক্তভোগী আলমগীর সরাসরি দেখা করেন। তখন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার বিস্তারিত ঘটনা শুনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস প্রদান করেন। কিন্তু মোটরসাইকেল ও ট্রলি নেয়ার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পুলিশ ফেরত দেয়নি বলে জানান আলমগীর।
এব্যাপারে এসআই নৃপেশ দেব জানান, আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। সেসব কুকর্ম থেকে বাঁচতে সে কৌশল হিসাবে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া ভুক্তভোগীর মোটরসাইকেল ও ট্রলি আনা ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply