এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পেকুরবাজারে এক কাপ চা নিয়ে এক ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একই বাজারের আরেক ব্যবসায়ীসহ ৬ জনের উপর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে উপর্যুপোরী হামলায় আহত ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালিব এমরান সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমরানের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজন বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আব্দুল ওয়াদুদ কামরান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় পেকুরবাজারে নিজের ছোট ভাই এমরান এবং ভাগ্না শাওনকে নিয়ে চা দোকানের ব্যবসা করেন আব্দুল ওয়াদুদ কামরান। গত ২৬ জুলাই বিকালে চা খাওয়ার পাওনা টাকা চাইতে বাজারের ব্যবসায়ী মুকুল মিয়ার দোকানে যান এমরান। এসময় ৫ কাপ চা, নাকি ৬ কাপ চা, এটি নিয়ে এমরান এবং মুকুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এমরান বলেন ৬ কাপ চা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে মুকুল বলেন ৫ কাপ চা দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে দু’জনেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে দু’জনকে যার যার দোকানে দিয়ে পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংশা করে দেওয়া হবে আশ^স্থ করা হয়।
এমতাবস্থায় হটাৎ করে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আব্দুল ওয়াদুদ কামরানের চায়ের দোকানে গিয়ে হামলা চালান ব্যবসায়ী মুকুল গংরা। এসময় ধারালো দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হন চায়ের দোকানের মালিক কামরানের ছোট ভাই এমরান এবং ভাগ্না শাওন। তাৎক্ষনিক আহতদের উদ্ধার করে কুলাউড়া হাসাপতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত এমরানকে সিলেট ওসমানী হাসাপালে রেফার করেন। এমরান আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও সিলেট ওসমানী হাসাপালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ কামরান ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা (নং-২৪, তারিখ-২৭/০৭/২৩) দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, রায়হান মিয়া (২৫), সাদিকুর রহমান (১৯), নিলু মিয়া (৫৫), মকুল মিয়া (৫০), মারুফ আহমদ (২২) এবং রাহিম মিয়া (২২)। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ২/৩ জন রয়েছেন বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস জানান, মামলার এজহারে উল্লেখিত ২নং আসামী সাদিকুর রহমানকে ইতোমধ্যে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছেন। তাঁদেরকে আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply