ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জমিজমা বাড়িঘর ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জমিজমা বাড়িঘর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে শ্রমিক লীগ নেতাকে শ্রমিক দলে রাখার পায়তারা

ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জমিজমা বাড়িঘর

  • শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম থেকে :: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে শত শত আবাদি জমিসহ বসত ভিটা। চর-গোরকমন্ডল গ্রামের বাসিন্দা সফর আলী(৩৬) তিনবার ঘর স্থানান্তর করেছেন।
তিনি বলেন আর একবার ভাঙলে ঘর স্থানান্তর এর যায়গা নাই কই যাবো কি খাবো কি করবো বলার ভাষা নাই।কি আর বলবো দুঃখের কথা এখানে আমরা প্রায় ৪০০/৫০০ লোক বাস করছিলাম মানে একটা গ্রাম ছিলো প্রায় ২ কিলোমিটার সবকিছুই নদী কাইরা নিছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার কয়েকবার আসলেও সাহায্য সহযোগিতা তো কিছুই পেলাম না। বুধবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, গত এক থেকে দেড় মাস আগে উপজেলার চরগোরকমন্ডল এলাকার ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে বদিরুজ্জামান মিয়ার বাড়ীর সামনে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে হাফ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। সেই সঙ্গে  শতশত বিঘা ফসলি জমি ও ১৫ থেকে ২০ পরিবার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধের জন্য ৬ হাজার জিওব্যাগ দিয়েও ভাঙন ঠেকাতে পাড়ছে না।স্থানীয় আরও কয়েকজনের মধ্যে আফান আলী(৪৮)বলেন তিন বিঘা,নুর হোসেন(৬২)চার বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
তারা বলেন পুর্বপুরুষের বসত ভিটাসহ তাদের কবরের স্মৃতি চিহ্নটুকুও নেই। এমন কষ্টে থাকার পরও সহযোগীতায় কেউ এগিয়ে না আসায় চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় চর-গোরকমন্ডল ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন জানান, চর-গোরকমন্ডল এলাকার ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে ১৫ থেকে ২০ পরিবার ও হাফ কিলোমিটার সড়কসহ শতশত ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো পর ছয় হাজার জিওব্যাগ ফেলেও ভাঙন রক্ষা করা যাচ্ছে না।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী বাধ কিভাবে দেয়া যায় সে বিষয়ে কাজ করছেন। তাদের সহযোগিতায় ৬ হাজার বস্তা জিওব্যাগ ইতোমধ্যে ফেলানো হয়েছে আরও বস্তা পেলে ভালো হতো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews