কুলাউড়ায় লক্ষাধিক টাকা দিয়েও মিলেনি নলকূপ : ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কুলাউড়ায় লক্ষাধিক টাকা দিয়েও মিলেনি নলকূপ : ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা

কুলাউড়ায় লক্ষাধিক টাকা দিয়েও মিলেনি নলকূপ : ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

  • শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এইবেলা, কুলাউড়া ::

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নে লক্ষাধিক টাকা দিয়েও সরকারি গভীর নলকূপ পায়নি দু’টি পরিবার। এ ঘটনায় পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ফজলু মিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাদিপুর গ্রামের ভুক্তভোগী দুই মহিলা। ওই ইউপি সদস্য সরকারি গভীর নলকূপ দেওয়ার কথা বলে  তাদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এদিকে সুবিচার চেয়ে ইউএনও’র  কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সাদিপুর গ্রামের মৃত সোহাগ মিয়ার স্ত্রী শামসুন নাহার ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমা বেগম বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের সময় ফজলু মিয়া তাদের বাড়ীতে ভোট চাইতে যান। এসময় তিনি ওয়াদা করেছিলেন, নির্বাচিত হলে তাদের দুই পরিবারকে সরকারি দুটি গভীর নলকূপ ব্যবস্থা করে দিবেন। নির্বাচনী ওয়াদা রাখতে ফজলু মেম্বার তাদের বাড়ীতে গিয়ে দুটি সরকারি নলকূপ পেয়েছেন বলে জানান। তবে, বিভিন্ন দপ্তরে খরচ বাবত ৮০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। পরে দর কষাকষিতে ৬০ হাজার টাকা করে দুটিতে এক লাখ ২০ হাজার টাকা সাব্যস্থ হয়। কয়েক ধাপে নির্ধারিত এক লাখ ২০ হাজার টাকা দুই পরিবারের কাছ থেকে নিয়ে নলকূপ স্থাপনের কাজও শুরু করেন ফজলু মিয়া।

ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, তাদেরকে ৭শ’ ফুট করে পাইপ, সাবমারসিবল পাম্প এবং এক হাজার লিটারের ট্যাংকি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ৪শ’ ফুট বোরিং করিয়ে আর নিচে যাওয়া সম্ভব নয় বলে কাজ শেষ করেন। সাবমারসিবল পাম্প এবং এক হাজার লিটারের ট্যাংকি দেননি। বাদবাকি কাজ তাদেরকে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে ভুক্তভোগীরা তার সাথে বার বার যোগাযোগ করলে তিনি কোন সমাধান দেননি। নিরুপায় হয়ে তারা পানির পাম্প, ট্যাংকি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করে নলকূপের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করেন। নলকূপ কাজের ঠিকাদার ছিলেন নুরুল ইসলাম এবং মিস্ত্রি ছিলেন বাদশা মিয়া। যারা উপজেলা জনস্বাস্থ্যের কাজ নিয়মিত করেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের ফারুক মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ইউএনও কার্যালয়ে শুনানি হয়েছে। ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করায় ফজলু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তারা এখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এ বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ফজলু মিয়া মুঠোফোনে জানান, নলকূপ স্থাপন এবং মালামাল বিক্রয়ের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে নলকূপ দিয়েছেন, এটি সরকারি কোন নলকূপ নয়।  এই টাকায় কখনও নলকূপ হয় না। তিনি দয়া ভেবে তাদেরকে দান করেছেন। হিসেব করলে এখনও তিনি তাদেরকে কাছে ৬০ হাজার টাকা পাবেন। বিষয়টি তিনি ইউএনও অফিসে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষকে নিয়ে শুনানি হয়েছে।  উভয়ের লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews