এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজার-০২ কুলাউড়া আসনে নৌকার ভোটের দূর্গখ্যাত চা বাগানের ভোট ব্যাংকে আঘাত হানতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগের ২ বিদ্রোহী প্রার্থী ও তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী। ফলে ভোটব্যাংক ৪ ভাগে ভাগ হওয়ার আশঙ্কা।
কুলাউড়া উপজেলায় রয়েছে ২৬টি চা বাগান। আর এই চা বাগানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। এই ভোট নৌকার সাথে অন্য প্রার্থীর ভোট ব্যবধান গড়ে দেয়। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার ভোট ব্যাংক তছনছ হয়ে যেতে পারে।
কুলাউড়ায় এবার নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ নিজেদের ঐক্য দাবি করলেও দলের ২ হেভিওয়েট স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) নিয়ে ভেতরে ততটা স্বস্তিতে নেই। কেননা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন ৫ বারের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ২ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান এবং একবারের সাবেক এমপি। চা শ্রমিকদের সাথে যার রয়েছে সবচেয়ে বেশি সখ্যতা ও বুঝাপাড়া। নৌকার ভোট ধরে রাখা জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান একেএম শফি আহমদ সলমান চা শ্রমিকদের ভাট বাগিয়ে নিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।
২ বারের সাবেকএমপি এমএম শাহীন একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। ৫ম বারের মত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া এমএম শাহীন চা শ্রমিকদের পরীক্ষিত বন্ধু বলে নিজেকে দাবি করেন। তিনি জানান, সংসদে চা শ্রমিকদের পক্ষে তিনি কথা বলেছেন। শুধু কথা বলেননি, তাঁর প্রস্তাবে চা শ্রমিকদের মাঝে বিশেষ বরাদ্ধ চালু হয়েছে।
এই ৩ প্রার্থী যদি ভোট চা শ্রমিকদের ভোট টানতে সক্ষম হন তবে নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে পড়তে হবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। ত্রিমুখী কিংবা চতুর্মূখী লড়াইয়ে এই আসনে নৌকা সুবিধা পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী থাকার এই নির্বাচন নৌকার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ।
সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান তৃণমুল বিএনপি’র প্রার্থী এমএম শাহীন। প্রতিটি বাগানে তিনি আলাদা ইউনিট করে কাজ করছেন। নৌকার ভোট ভাগ হয়ে গেলে নির্বাচনে জয়লাভ তাঁর জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।#
Leave a Reply