এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের মোট ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে৩৪টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন ব্যালট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু এই ৩৪টি কেন্দ্রে ভোটের আগের দিন ব্যালট না পাঠানোর জন্য জেলা রিটানির্ং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালমা বরাবরে ৫ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী এমএম শাহীন ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান। যার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম সফি আহমদ সলমান তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণামতে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে প্রশাসনের পাশাপাশি তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের লক্ষে কোনো ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট পেপার আগের দিন বিকেলে বা রাতে না পাঠানোর অনুরোধ করেন তারা। এ আসনের ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে শরীফপুর, হাজীপুর, কর্মধা ইউনিয়নের সবক’টি কেন্দ্র, টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৫টি ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের দুটিসহ মোট ৩৪টি কেন্দ্রে আগের দিন বিকাল বা রাতে ব্যালেট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তারা জেনেছেন। এ উপজেলার সবচেয়ে বেশি দুরত্বের কেন্দ্রে মাত্র ১ ঘন্টা থেকে
দেড় ঘন্টার রাস্তায় ব্যালেট পেপার যদি ভোটের দিন সকালে উপজেলা থেকে নিয়ে রওয়ানা দেয়া হয় তাহলে ওই সময়ের ভিতরে কেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব বলে দাবি তাদের। কারণ
কুলাউড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো।
তাদের দাবি, দুরত্বের অজুহাতে আগের দিন বিকালে বা রাতে ব্যালেট পেপার না পাঠিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সুন্দর রাখার এবং অন্যান্য সকল ভোটকেন্দ্রের মতো ব্যালেট পাঠানোর দাবি জানান জেলা রিটানির্ং অফিসারের কাছে।
কুলাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মৌলভীবাজার-২ আসন। এ আসনের ১৩টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭২। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩৭ জন। এ বিষয়ে সহকারী রিটানির্ং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, দুই
প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুরত্ব বিবেচনায় ওই ৩৪টি কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রার্থীদের শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। ৮জন ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম, আনসারহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া ভোট গ্রহণে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য। এরপরও যদি কোন কর্মকর্তা ভোটগ্রহণে পক্ষপাতিত্ব বা দায়িত্বে অবহেলা করেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
Leave a Reply