জানা যায়, গত ৪ মার্চ উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে একটি ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটায় হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা তারা মিয়ার ছেলে চিহ্নিত বখাটে আজাদ মিয়া (৪২)। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার পরদিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শেষ করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ১২ মার্চ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। ১৩ মার্চ বুধবার বিকেলে আসামী আজাদ মিয়াকে আটক করতে তার বাড়িতে অভিযান চালান কুলাউড়া থানার এসআই সালাউদ্দিন মিফতা, আনোয়ার মিয়া, এ এস আই তপন দেব ও কনস্টেবল আফরোজ মিয়া। এসময় আসামী আজাদকে আটকের চেষ্টাকালে আসামীর পরিবারের লোকজন পুলিশের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়ায় এবং ধস্তাধস্তি শুরু করে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আসামী আজাদ মিয়া পালিয়ে যায়। হামলায় ৪ পুলিশসদস্য ছাড়াও মামলার বাদী কয়েছ মিয়া (২৯), তাঁর মাতা ওমরুন নেছা (৬০), ভাই নাবিল (২১) হামলায় আহত হন। পরে কুলাউড়া থানার অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। আহতরা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শিবনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আহত ৪ পুলিশ সদস্যসহ ৭জন আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৬জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলমান আছে।#
Leave a Reply