নতুন ঘরে উঠলো বড়লেখার ২৬২ অস্বচ্ছল পরিবার নতুন ঘরে উঠলো বড়লেখার ২৬২ অস্বচ্ছল পরিবার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আত্রাইয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজে ধীরগতি : দুর্ভোগে এলাকাবাসী শ্রীমঙ্গলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ঋণ ম্যাচমেকিং কর্মসূচি ও ব্যাংকার-উদ্যোক্তা মত বিনিময় সভা ৪শ’ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক নিদর্শণ আত্রাইয়ের তিন গুম্বুজ মসজিদ-মঠ সিলেট তালতলা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন জেলা প্রশাসকের সাথে কুলাউড়ায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মতবিনিময় কুলাউড়ার সদপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ বড়লেখায় বিজিবির হাতে রুপিসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুড়িগ্রামে ঘর-বাড়ি ফসলি জমি রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর    সিলেটে বিএনপির বিশাল শোডাউন সিলেট নগরীতে ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত রিকশা চলাচলে নতুন নির্দেশনা

নতুন ঘরে উঠলো বড়লেখার ২৬২ অস্বচ্ছল পরিবার

  • শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আব্দুর রব, বড়লেখা :

বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের দৃষ্ঠিনন্দন পাকাঘরে বসবাস শুরু করেছে ২৬২ অসচ্ছল ও দুস্থ পরিবার। এরমধ্যে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশা চালক, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা চালানো অতিদরিদ্র মহিলাও রয়েছেন। যারা কখনও কল্পনাও করেননি কোন দিন পাকা ঘরে বসবাস করবেন। উপজেলা প্রশাসন সরকারের ৪টি প্রকল্পের অর্থায়নে গত ৩০ জুনের মধ্যে এসব ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে সরকারের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

সরেজমিনে গেলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকাঘরে বসবাসকারী উপজেলার তালিমপুর ইউপির খুঠাউরা গ্রামের বিধবা ফাতেমা বেগম জানান, হাওর শ্রমিক স্বামী নিয়ামত আলী মারা যাওয়ায় ২ সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা চালান। খড়ের ছাউনি আর ইকোড় বেতের বেড়ার ছোট্ট ঘরে পশুপাখির মতো মেঘ-বৃষ্টি, ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করেই থাকতেন। নানা দুর্যোগ আতঙ্কে এক মুহুর্তও শান্তিতে ঘুমাননি। কোন দিন কল্পনাও করেননি পাকাঘরে ঘুমাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্ঠিনন্দন পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়ায় এখন তিনি ছেলে-মেয়ে নিয়ে শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া ছেলে দুলাল আহমদ ঘরে বসেই বিদ্যুতের আলোয় পড়াশুনা করছে। গ্রামীণ দরিদ্র গৃহহীন জনগোষ্ঠীর দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ প্রকল্পের আওতায় বিধবা ফাতেমা বেগমের মতো অসহায়-অসচ্ছল আরো ২৩ পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। পাকা ঘরপ্রাপ্ত বিধবা মায়ারুন নেছা, বায়তুন নেছা, দিনমজুর আব্দুল জলিল নানা সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্ঠিনন্দন বসতঘর উপহার দেয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা সমাজসেবা ও পিআইও অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৫টি অসচ্ছল চা শ্রমিক পরিবারকে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের অর্থায়নে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে মডেল আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ৫টি পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়ছে।ে এতে সরকাররে ব্যয় হয়ছেে ২০ লাখ ৩ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ এর যার জমি আছে ঘর নাই, তার নিজ ভুমিতে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় সর্বমোট ২২৩টি অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাছাইকৃতদের মধ্যে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, দিনমজুর, রিকশা চালক, স্বামী পরিত্যক্তা, অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করা অতিদরিদ্র মহিলাও রয়েছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার আরো ২৪টি অসহায়-দরিদ্র পরিবারকে ৭১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ টাকা ব্যয়ে ২৪টি পাকা বসতঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ কর্মসুচির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পৌরসভা ও উপজেলার দাসেরবাজার, বড়লেখা সদর, তালিমপুর, দক্ষণিভাগ (উত্তর), সুজানগর ও দক্ষণিভাগ (দক্ষণি) ইউনিয়নে দুস্থ পরিবারকে ১০টি সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি বসতঘর নির্মাণে ব্যয় হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, প্রত্যেকটি প্রকল্পের পাকাঘর নির্মাণের সকল উপকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংশ্লিষ্টদের তিনি তা ব্যবহারের অনুমতি দেন। কাজের সময় তিনি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা সার্বক্ষনিক মনিটরিং করায় প্রত্যেকটি ঘর অত্যন্ত মানসম্পন্ন ও টেকসই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দৃষ্ঠিনন্দন এসব পাকাঘর পেয়ে দরিদ্র উপকারভোগীরা অত্যন্ত খুশি। সরকারীভাবে ২৬২টি পাকাঘর নির্মাণ করে দেয়ায় উপজেলার সহস্রাধিক দরিদ্র-অসচ্ছল মানুষ উন্নত আবাসনের আওতায় এসেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ উবায়েদ উল্লাহ খান জানান, নির্মিত ঘরগুলো গত ৩০ জুনের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাননীয় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপির দিক নির্দেশনায় প্রত্যেক ক্যাটাগরির উপকারভোগী বাছাই কার্যক্রম নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করায় প্রকৃত দুস্থ, অসহায় ও অসচ্ছল ব্যক্তিরা সরকারী ঘর পেয়েছেন। ইউএনও স্যারের তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক মনিটরিং থাকায় প্রত্যেকটি ঘরে মান সম্পন্ন মালামাল ব্যবহার করা হয়। মিস্ত্রিরাও সঠিকভাবে কাজ করায় ঘরগুলো অত্যন্ত সুন্দর ও মজবুত হয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews