নিজস্ব প্রতিনিধি :: সাভারের নয়ারহাটে অবস্থিত জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার); নিটার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও উপাদানপ্রকল্প প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) কর্তৃক পরিচালিত। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রতিষ্ঠান হলেও চারবছরে একজন শিক্ষার্থীর বিএসসি কোর্স সম্পন্ন করতে পাঁচ লাখ একুশ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।
বর্তমানে বিএসসি কোর্সে অধ্যয়নরত পনেরো শত এর অধিক শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক-১ ও ২ এ খাবার পানির জন্য মোট চারটি ওয়াটার পয়েন্ট রয়েছে এর মধ্যে দুটি ইলেকট্রিক ওয়াটার পিওরিফায়ার, এতো সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র চারটি ওয়াটার পয়েন্টকে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল মনে করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, গ্রীষ্মকালে এই পয়েন্ট গুলোর পানি অত্যাধিক গরম থাকার কারনে সেগুলো পানের উপযোগী থাকে না বলে জানিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী।
অপরদিকে, নিটারে ক্যাম্পাসের তিনতলা বিশিষ্ট ছাত্র হোস্টেলের প্রতি তলায় রয়েছে ১১ টি করে কক্ষ, কিন্তু প্রতি তলার জন্য ওয়াটার পিউরি-ফায়ার রয়েছে মাত্র একটি করে। আবার নিচতলার পিওরিফায়ারটি ক্যান্টিনে হওয়ায় রাত ৯টার পরে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, খাবার পানির রয়েছে তীব্র সংকট। এছাড়া, অভিযোগ রয়েছে ফিল্টার গুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার ও নিয়মিত করা হয় না।
অন্যদিকে, ছাত্র হোস্টেলের বর্ধিত ভবন-১ এ প্রায় একশত শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি ওয়াটার পিউরি-ফায়ার যেটি কিনা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য পানির নাজুক অবস্থার কথাও জানিয়েছেন সেখানে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানকার পানির টাঙ্কি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে পানির সাথে মরিচা, কালো পানি আসে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই নোংরা পরিবেশ ও পানির জন্য অনেকেই চর্মরোগে (স্ক্যাবিস) ও আক্রান্ত হয়েছেন।##
Leave a Reply