বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে
এইবেলা, কুলাউড়া :: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী বলেছেন, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, ছাত্রসমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় ৯ হাজারের মতো মানুষকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে এবং বাকি ৭ হাজার আত্মীয়স্বজনদের বাসায় উঠেছে। বন্যার শুরু থেকে সেনাবাহিনী বন্যার্তদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি এই অঞ্চলের প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ মানষের সহযোগিতা এগিয়ে আসছেন। তাদের সহায়তা যেন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দ্বারগোড়ায় পৌছে তার জন্য প্রশাসন কাজ করবে। মনু নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এরপর ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য সরকারি উদ্যোগে নির্মাণ সামগ্রী আসবে। সেগুলো যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ পায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপশি সেনাবাহিনী সেটা নিশ্চিত করবে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
মেজর জেনারেল চৌধুরী মোহাম্মদ আজিজুল হক হাজারী বলেন, সেনাবাহিনীর সৈনিকদের খাবারের একটা অংশ থেকে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমার নিজ উদ্যোগেও ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। তিনি প্রবাসীসহ সকলকে স্বস্ব অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো আহবান জানান।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে তার সাথে ছিলেন সিলেট সেনানিবাসের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদুল আহসান, মেজর রিয়াদ, ক্যাপ্টেন আদনান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দীপংকর ঘোষ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক প্রমুখ।#
Leave a Reply