কুলাউড়া হাসপাতালে ৫ সেকমো ৩ মাসের ইন্টার্নি করতে এসে ৪ বছর পার! কুলাউড়া হাসপাতালে ৫ সেকমো ৩ মাসের ইন্টার্নি করতে এসে ৪ বছর পার! – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন

কুলাউড়া হাসপাতালে ৫ সেকমো ৩ মাসের ইন্টার্নি করতে এসে ৪ বছর পার!

  • শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫

এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে ইন্টার্নি করতে ৫ সেকমোর কাছে জিম্মি সেবাগ্রহিতারা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেম্বারে বসে রোগি দেখা, রোগির সাথে খারাপ আচরণ, বিনাকারণে রোগিদের হাসপাতালের বাইরের প্যাথলজিতে টেস্ট করতে পাঠানোর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হলেও ডাক্তার সঙ্কটের অযুহাতে এদেরকে রোগি দেখার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।

কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫ লক্ষাধিক লোকের একমাত্র সেবাপ্রদান কেন্দ্র এই হাসপাতালটি। জেলার মধ্যবর্তী স্থানে কুলাউড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় সেবাগ্রহিতাও অনেকাংশে বেশি। ২০২১ সালে কুলাউড়া হাসপাতালে ইলিয়াছ, সুমন, উজ্জল, রিয়াজ ও সাবিনা নামের ৫জন সেকমো ৩ মাসের জন্য ইন্টার্নি করতে আসেন। ইন্টার্নি শেষ করার পর তাদের সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রায় ৪ বছর ধরে কুলাউড়া হাসপাতালে রয়েছেন তারা। চাকুরি স্থায়ীকরণ না হলেও বিনাবেতনে তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ফলে টাকা ইনকামের জন্য অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন তারা। সেবাগ্রহিতারা বলেন, অনিয়ম ছাড়া এদের বেতন আসে কোত্থেকে?

জানা যায়, কুলাউড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে সেকমোর মাত্র দু’টি পদ রয়েছে। একটি শূন্যপদ ও অন্যপদে দায়িত্ব পালন করছেন শফিকুর রহমান।

সরেজমিন হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, সেকমোরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চেয়ারে বসে রোগি দেখছেন। হাসপাতালে রোগির চাপ বেশি হওয়ায় এবং রোগিদের তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখানোর চেষ্টায় বিরক্তি প্রকাশ করে ধমক দেন। তাছাড়া বিভিন্ন টেস্ট লিখে দিয়ে বাইরের প্রাইভেট প্যাথলজিতে প্রেরণ করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেস্টেও বিলের উপর ২৫ শতাংশ হিসেবে কমিশন নেন সেকমোরা। চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধও লিখেন। যা হাসপাতালে পাওয়া যায় না।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে এক সেকমো জানান, চাকরি স্থায়ী হওয়ার আশায় তারা হাসপাতালে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করানো হয়। সামান্য কিছু সমস্যা হলেই তাদেরও শুনতে হয় বকাঝকা। সেবাগ্রহিতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের অভিযোগ থাকতে পারে।

এব্যাপারে মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মামুনুর রহমান জানান, সেকমোর চিকিৎসা সেবা প্রদান করার কোন সুযোগ নাই। এধরনের সেকমো সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারে না। নিয়োগ ছাড়া তারা কিভাবে সেবা দিচ্ছে তা আমি জানবো। তাদের নিয়োগ দেয়ারও ক্ষমতা আমার নেই। সেবাগ্রহিতা বেশি হলে, কেবলমাত্র নিয়োগপ্রাপ্ত সেকমোরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পাশে বসে সহযোগিতা করতে পারেন। কুলাউড়ার সেকমোদের বিষয়টা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।##

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews