এইবেলা, কুলাউড়া :: জাল দলিল সৃষ্টি ও নামজারী করে এক একর ৭৬ শতাংশ জমি জবরদখল করে একটি চক্র। আদালতের রায়ে জমিটি ফিরে পান জমির প্রকৃত মালিক। কিন্তু মালিক হয়েও সেই জমিতে যেতে পারছেন না। জবরদখলকারী চক্রের হুমকিতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত ভুমি মালিক কুলাউড়া থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের করেছেন। ঘটনাটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে সিঙ্গুর এলাকার।
কুলাউড়া থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর খাদিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইছমাইল আলীর শাহ’র ছেলে আজমল আলী শাহর মালিকানাধীন ১ একর ৭৬ শতাংশ জমি আব্দুর রহমানের ছেলে ফখরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও বদরুল ইসলাম এবং তাদের সহযোগিরা জাল দলিল সৃষ্টি করে ও নামজারি করে জোরপূর্বক জবরদখল করে। জমির মালিক আজমল আলী শাহ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ফখরুল ইসলামগংদের দলিল ও নামজারী বাতিল করেন। আদালত একতরফাভাবে জমির মালিক আজমল আলী শাহর পক্ষে রায় প্রদান করেন।
আদালতের রায় অবমাননার দায়ে জমির মালিক আজমল আলী শাহ জেলা জজ আদালতে মামলা (নং ১২/২০২৪) আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে জবর দখলকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
জমির মালিক আজমল আলী শাহ জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভুমি জবরদখলকারীরা বন পরিবেশমন্ত্রীর ভাগনা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ভুমি জবরদখলসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতো। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে চালাতো। বর্তমানে আমি আমার জমি জবরদখলমুক্ত করতে চাইলে তারা আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ০২ মার্চ কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়রি (নং ১৬১৬) করেছি। জবরদখলকারীরা অর্থেবিত্তে প্রভাবশালী হওয়ায় আমি প্রাণনাশের আশঙ্কায় সবসময় আতঙ্কে রয়েছি।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম আপছার জানান, আজমল আলী শাহ লিখিত অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ###
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply