হাকালুকি হাওরে বিগত সরকারের আমলে রাজস্ব খাতে নেয়া ১৫ বিলকে মৎস্য অভয়াশ্রমে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রাথমিক শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করবে বেতন কমিশন কমলগঞ্জে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা সংস্কৃতির চর্চাঃ সমস্যা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা সুনামগঞ্জ–৫ আসনে আচরণবিধি মানতে ধানের শীষের প্রার্থীর উদ্যোগে ব্যানার পোস্টার অপসারণ কার্যক্রম বড়লেখায় প্রবাসীর সাথে প্রতারণা- ফ্রান্সে নেওয়ার পর জানলেন নিজের স্ত্রী অন্যের, শ্বাশুড়ি শ্যালকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছাতকের ‘শিখা সতেরো’—৫৪ বছরের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি হাদীর উপর সন্ত্রাসী হামলার জের- বড়লেখায় বিভিন্ন পয়েণ্টে বিজিবির বিশেষ টহল, তল্লাশি অভিযান বড়লেখার ছিদ্দেক আলী হাইস্কুলের ‘শতবার্ষিকী’ উদযাপনে কমিটি হিনাইনগর যুবসংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গুনিজন ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নব বিমানসেনা দলের ৫৩ তম রিক্রুটদলের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত বড়লেখায় রহস্যঘেরা বাংলোবাড়িতে পুলিশের অভিযান

হাকালুকি হাওরে বিগত সরকারের আমলে রাজস্ব খাতে নেয়া ১৫ বিলকে মৎস্য অভয়াশ্রমে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি

  • রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

Manual2 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া ::  স্বয়ং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর ডিও লেটারে মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে রাজস্ব খাতে নেয়া হাকালুকি হাওরের ১৫টি বিলকে পুনরায় অভয়াশ্রম ঘোষণার দাবি হাওর তীরের মানুষের। শুধু তাই নয় হাকালুকি হাওরকে বিশেষ উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি। তাছাড়া বিগত ১৫ বছর যারা হাওরে লুটপাট ও পরিবেশের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে বলে জানিয়েছে ‘হাওর বাঁচাও কৃষক বাঁচাও’ ও ‘হাকালুকি হাওর তীরের সচেতন নাগরিক সমাজ’।

Manual2 Ad Code

এদিকে হাকালুকির জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস হাওরের আরও ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় আনার প্রস্তাবনা করেছে। এ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন দু’টি। তাদের মতে, হাওর তীরের বাকি উপজেলাগুলো অভয়াশ্রমের ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে হাওরের ইকোসিষ্টেম এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে।

কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলা ইসিএ কমিটির সভায় হাকালুকি হাওরের উন্নয়ন এবং হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ব্যাপক আলোচনা হয়। ১৯৯৯ সালে হাকালুকি হাওরকে ইকোলজিকেল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা হাওর উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও প্রকৃত অর্থে হাওরের কিংবা হাওর তীরের মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। সকল অর্থই হাওরের জলে ভেসে গেছে।

হাকালুকি হাওরের ছোটবড় ২৩৮ বিলের মধ্যে ২২টি বিলকে অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বয়ং পরিবেশ ও বনমন্ত্রীর ডিও লেটারে অভয়াশ্রম বাতিল করে ১৫বিলকে রাজস্ব খাতে হস্তান্তর করা হয়। যে ৭টি বিল অভয়াশ্রম হিসেবে ছিলো সেগুলোতে সরকার দলীয় লোকজন লুটপাট চালিয়েছে। হাওর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হয় হাকালুকি হাওরকে। বিগত ১৫ বছরে উন্নয়ন নয় শুধু লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে হাওরে। ধ্বংস করা হয়েছে হাওরের পরিবেশ। সরকার পরিবর্তণ হলেও লুটেরাদের কোন পরিবর্তণ হয়নি। ইজারার নামে হাওরের বিলগুলোতে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে মাছ শিকারের নামে চলছে মাছ লুট।

Manual2 Ad Code

কুলাউড়া মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে নতুন করে ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় আনার প্রস্তাব করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু মাসুদ। প্রস্তাবিত বিলগুলো হলো হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া উপজেলা অংশের মেদি বিল, পানি খাওয়া বিল, কছমা বিল, সিংকুড়ি বিল, শ্রীকষ্টি বিল, শশাবিল, মহিষমারা বিল, গৌড়কুড়ি বিল, হাওয়া বর্নী ফুট বিল, চাপড়া বিল ও ফাটা চাপড়া বিল।

Manual8 Ad Code

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু মাসুদ জানান, হাকালুকি হাওরকে রক্ষার এখনই মোক্ষম সময়। হাওর তীরের বাকি ৪টি উপজেলার মৎস্য বিভাগ এগিয়ে এলে হাওরে যদি অর্ধশত অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে হাকালুকি হাওর থেকে মাছ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। তবে প্রস্তাবিত বিলগুলোকে ইজারার আওতায় নিতে গেলে কিছুটা উন্নয়ন ব্যয় করতে হবে। যেমন বিলগুলোকে খনন কওে বাড়াতে হবে বিলের গভীরতা। এসব বিলে যাতে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে কেউ জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে না পারে তারজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব প্রস্তাবনাও তিনি করেছেন।

হাকালুকি হাওরে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা প্রতিনিধি মো. তৌহিদুর রহমান জানান, অভয়াশ্রম বাড়ালে শুধু মাছের উৎপাদনই বাড়বে না স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাওরের ইকো সিষ্টেম রক্ষা পাবে। অতিথি পাখির আনাগোনা বাড়বে। সর্বোপরি হাওরের উপর নির্ভরশীল মানুষের জন্য বিকল্প জীবিকায়নের চিন্তা করা লাগবে না। তাদের জীবনমানেরও উন্নয়ন হবে।

‘হাকালুকি হাওর তীরের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও হাওর তীরের ভুকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান মনির জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর লোকজন হাওওে হরিলুট চালিয়েছে বিগত ১৫ বছর। এদের নামে এখনও বিল ইজারা রয়েছে। সেগুলো বাতিল করতে হবে। মন্ত্রীর ডিও লেটাওে রাজস্বখাতে নেয়া বিলগুলোকে ফের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। #

Manual3 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!