এইবেলা, কুলাউড়া ::
স্বামী হত্যা মামলার আসামী হওয়ায় স্ত্রী সন্তানরা ৩ মাস থেকে গৃহহারা। প্রচলিত আইনে স্বামীর বিচার হোক কিন্তু সন্তান নিয়ে বাড়িতে ফিরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিন (৩০)। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া প্রেসক্লাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে এই আকুতি জানান অসহায় গৃহবধু।
লিখিত বক্তব্যে গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিন জানান, উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের মীরশংকর গ্রামে সংঘটিত মনাফ হত্যাকান্ডের ২নং আসামী গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী সামছুদ্দিন। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে জেলহাজতে রয়েছেন। ওইদিন রাতে গৃহবধুর বসতগৃহে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে নির্যাতন ও মারপিট করা হয়। তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ২ সন্তানসহ গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিন বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগে বোনের বাড়িতে রয়েছেন। তিনি বাড়িতে ফিরতে চাইলে মনাফ হত্যা মামলার বাদিপক্ষ আকুল মিয়া ও তার ৪ ভাই মিলে তাকে বাড়িতে না ফিরতে হুমকি দেন। এরপর গত ০২ ফেব্রুয়ারি ফের বাদিপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বসতগৃহে অনধিকার প্রবেশ করে ঘর ভাঙচুর চালায়। শুধু ঘর ভাঙচুর করে থেমে থাকেনি বাড়ির গাছপালাও কেটে ক্ষতি সাধন করেন।
গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিন তার বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। তিনিও জেলহাজতে আছে। এখন আমি সন্তানসহ বাড়িতে ফিরতে পারছি না। ফিরতে চাইলে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ২ছেলে কুলাউড়া আহমদাবাদ হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করে কিন্তু তাদেরও লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে গৃহবধু ফরিদা ইয়াসমিন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের অভিযোগটি বর্তমানে কুলাউড়া থানায় তদন্তাধীন আছে বলে গৃহবধু জানান।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, আদালতের দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্তের কোন নির্দেশনা তিনি পাননি। পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।#
Leave a Reply