এইবেলা, কুলাউড়া ::
মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুলাউড়ায় করোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর শহরের করোনা আক্রান্ত ১১ জনের বাসা-বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত করোনা টেস্টের জন্য ৫২ জন নমুনা দেন। এর মধ্যে ১১ জনের পজেটিভ আসে।
গত ৩১ মার্চের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির হার সর্বোচ্চ হওয়ায় জেলা প্রশাসন ও জেলা সিভিল সার্জন সংক্রমণরোধে আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, জরুরী প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে বন্ধ, সকল ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েত বন্ধ, গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই নির্দেশনানুযায়ী কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের এবং পুলিশ প্রশাসনের একটি টিম বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার পৌর এলাকাসহ জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার ও কাদিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন মেনে ঘরে থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম, হাসপাতালের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জসীম উদ্দিন সহ থানা পুলিশের একটি দল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনার গণবিজ্ঞপ্তিটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিফলেট আকারে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনাটি মেনে চলার জন্য উপজেলার প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় মাইকিং করানো হচ্ছে। যারা ১৮ দফার নির্দেশনা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হবে। ১৮ দফা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করানো হচ্ছে। এখন থেকে মাঠে প্রশাসনের নজরদারী থাকবে। যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে সংক্রমণ আইনের ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার সকল মসজিদের ইমামদের সাথে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা করবো। তাঁরা যাতে শুক্রবার জুম্মার নামাজে উপস্থিত মুসল্লিদের করোনা সংক্রমণরোধে সরকারে নির্দেশনাগুলো পালন করার জন্য সচেতন করতে পরামর্শ প্রদান করেন।#
Leave a Reply