এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলায় উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে বলে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে ৪৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। সোমবার (০৫ এপ্রিল) উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের বাসিন্দা মো. ইন্তাজ আলীর মেয়ে ও কুলাউড়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া তাবাসসুমের সাথে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রতারণার শিকার ওই শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-২১৬) দায়ের করেছেন।
প্রতারণার শিকার হওয়া শিক্ষার্থী সাদিয়া তাবাসসুম জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে (০১৬১০-০৭২৪৬৬) নাম্বার থেকে আমার পিতার নাম্বার (০১৭৮৫-৬০০৮০৪) ফোন করে বলে আমার উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা তার কাছে জমা আছে। উক্ত টাকা পাওয়ার জন্য আমার নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড আসবে এই কোড দিলে তারা টাকা পাঠাবে। সাথে সাথে আবার ফোন করে বলে আমার নাম্বারে ১৫ হাজার টাকা আসবে না, এই টাকা পাওয়ার জন্য বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। আমি সাথে সাথে একটি বিকাশ এজেন্টের কাছে যাই। বিকাশ এজেন্টের কাছে যাওয়ার পর ওই লোক আমাকে আমার নিজের বিকাশ নাম্বারে ২৪ হাজার ৫ শত টাকা ক্যাশ ইন করার কথা বললে আমি এজেন্টের দোকান থেকে আমার পার্সোনাল (০১৭৮৫-৬০০৮০৪) নাম্বারে ২৪ হাজার ৫শত টাকা পাঠানোর সাথে সাথে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলে। পরবর্তীতে এর কিছুক্ষণ পর ওই প্রতারক লোক ফোন করে (০১৯৮৯-২১৪৮৮৮) নাম্বারে আরও ২৪ হাজার ৫শত টাকা পাঠানোর কথা বলে। সাথে সাথে আমি আরও ২৪ হাজার ৫শত টাকা ওই নাম্বারে পাঠিয়ে দেই। টাকা পাঠানোর পর ওই প্রতারক আমাকে কিছুক্ষণ পর ফোন দিচ্ছে বলে ফোন রেখে দেয়। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষায় থাকার পরও তার কোনো ফোন না পাওয়ায় তাকে উল্টো আমি ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি আমি বিকাশ অফিসে জানালে তারা থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, কেউ আপনার ফোন নাম্বার চাইলে দিবেন না। প্রতারক চক্র আপনার ফোন নাম্বার হ্যাক করে টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করবে। এই বিষয়ে সকল উপবৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আর্থিক প্রলোভনে পড়ে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে কোন আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং সচেতন থাকতে বলেন।#
Leave a Reply