এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার ফানাই নদীর খনন কাজ সম্পন্ন হতে না হতেই নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের মাটি বিক্রি চলছে অবাধে। এতে পাহাড়ী ঢল নামার সাথে সাথে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে নদী তীরের বাড়িঘর এ্ই আশঙ্কায় আতঙ্কিত ৪ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে কুলাউড়া উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ফানাই নদী দুইধাপে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৯ কিলোমিটার নদীখনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খনন কাজ শেষ হতে না হতেই একটি চক্র নদী তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধের মাটি অবৈধভাবে বিক্রি শুরু করে। বিশেষ করে নদী তীরের রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ভবানীপুর, মুকুন্দপুর, একিদত্তপুর, কবিরাজি পালগাঁও, বাঘাজুরা ও হাসিমপুর। কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রতাবী, গুতগুতি এলাকায় নদীর প্রতরক্ষা বাঁধও কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। অসাধু চক্র এমনভাবে মাটি বিক্রি করছে তাতে বাঁধের কোন অস্থিত্ব রাখছে না।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, যেসব স্পট থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে, সেখানকার জমির মালিকরা এই কাজের সাথে জড়িত। এদেরকে ধরলেই মাটি বিক্রির আসল তথ্য পাওয়া যাবে।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, এমনভাবে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে, নদীর বাঁধের কোন অস্থিত্বই রাখছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাত হলে বন্যার পানি দ্রুত লোকালয়ে প্রবেশ করবে। এতে ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ শেষ হওযার পর নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে গাছ লাগানোর মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু মাটি বিক্রির কারণে সামাজিক বনায়নের কাজও বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানায়, ফানাই নদী খননের পর অতিরিক্ত মজুদকৃত মাটি শর্ত সাপেক্ষে বিক্রি করা যাবে। কিন্তু সেটা করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কোন ব্যক্তি নয়। বিক্রি করতে হলে প্রথমে জেলা প্রশাসকের আবেদন করতে হবে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সমন্বয়ে মাটির দাম নির্ধারণ করে তবেই বিক্রি করা যাবে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান জানান, কোন ব্যক্তির মাটি বিক্রির কোন সুযোগ নেই। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply