কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস মহান মে দিবস উপলক্ষে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার ০৯ মে সকাল ১১ টায় চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উদ্যোগে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক হরিনারায়ণ হাজরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি কবি শহীদ সাগ্নিক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ নুরুল মোহাইমীন, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের নেতা রজত বিশ্বাস, সুনছড়া ডিভিশন চা-শ্রমিক যুব সংঘের সভাপতি মিলন নায়েক, লংলা চা বাগানের নেতা শিশুলাল লোহার, চা শ্রমিক সংঘের যুগ্ম আহবায়ক শ্যামল অলমিক, চাতলাপুর চা-বাগানের নারায়ন নাইডু, রটিত কীর্তি, সুনছড়া চা বাগানের জয়নাল আবেদীন, শ্রীরাম ভূঁইয়া, বিশ্ব কর্মকার, রাজকুমার ভূঁইয়া, মিলন ভূঁইয়া প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৮৮৬ সালে রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শ্রমিক শ্রেণি সামাজিক স্বীকৃতি এবং বিশ্বব্যাপী ৮ ঘন্টা শ্রম, ৮ ঘন্টা বিশ্রাম ও ৮ ঘন্টা বিনোদনের দাবি প্রতিষ্ঠিত করে। ৮ ঘন্টা শ্রম দিবস এবং মহান মে দিবসে ছুটি কারো দান নয় বরং শ্রমিক শ্রেণির রক্তস্নাত পথে অর্জিত অধিকার। প্রয়াত চা-শ্রমিকনেতা মফিজ আলীসহ তৎকালীন চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের ভূমিকায় ১৯৬৪ সালে ৩ মে শমসেরনগরে পূর্ব-পাকিস্তান চা-শ্রমিক সংঘের উদ্যোগে প্রথম মহান মে দিবস পালন করে। সেই সময় মে দিবসে চা-শ্রমিকদের ছুটি ছিল না। পূর্ব-পাকিস্তান চা-শ্রমিক সংঘের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে চা-শ্রমিকরা মে দিবসে আজও ছুটি ভোগ করছেন। দেড়শ বছরের বেশি সময় চা-শ্রমিকদের ছুটির দিনের মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছিল, চা-শ্রমিক সংঘের আইনী ও প্রচার আন্দোলনের কারণে ২০১৬ সাল থেকে চা-শ্রমিকরা ছুটির দিনের মজুরি পাচ্ছেন।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চায়ের আবাদ ও চা-উৎপাদন মূল্য দুটোই বাড়লেও মালিকদের মুনাফাও প্রতিবছরই বাড়ছে; শুধু বাড়ছে না শ্রমিকের মজুরি। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে ১২০ টাকা মজুরীতে সংসার চলা দায়। এমতবস্থায় সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মাধ্যমে বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ৬-৭ জনের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য দৈনিক ৬৭০ টাকা মজুরিসহ চা-শিল্পে নৈমিত্তিক ছুটি (বছরে ১০ দিন) কার্যকর ও অর্জিত ছুটি প্রদানে বৈষম্যসহ শ্রম আইনের বৈষম্য নিরসন করে গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মজুরি ও উৎসব বোনাস প্রদানে সকল অনিয়ম বন্ধ করে শ্রমআইন মোতাবেক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান এবং ৯০ দিন কাজ করলে সকল শ্রমিককে স্থায়ী (পাক্কা দফা) করার দাবি জানানো হয়।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply