এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলায় চিকিৎসার কথা বলে অসুস্থ এক গৃহবধূকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মবশ্বির আলী (৪৩) নামের কথিত এক কবিরাজকে স্খানীয় লোকজন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
ঘটনাটি শুক্রবার (১৪ মে) ঈদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ঘটে। এ ব্যাপারে আজ শনিবার (১৫ মে) বিকেলে কুলাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। মবশ্বিরের বাড়ি পার্শ্ববর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদানগর গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামের গৃহবধু কিছুদিন ধরে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। গৃহবধূর চিকিৎসার জন্য তাঁর স্বামী এলাকায় পরিচিত মবশ্বির কবিরাজের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। গত শুক্রবার বিকেলে মবশ্বির চিকিৎসার জন্য তাঁদের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে মাগরিবের নামাজ পড়ার কথা বলে তিনি গৃহবধূর স্বামী ও শ্বাশুড়িকে ঘরের বাইরে চলে যেতে বলেন। পরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ফেলেন। এর কিছু সময় পর গৃহবধূর চিৎকার শুনে স্বজনদের সন্দেহ হয়। ডাকাডাকি করলেও মবশ্বির সাড়া দিচ্ছিলেন না।
এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে গৃহবধূ কেঁদে কেঁদে বলেন, মবশ্বির তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। এর ফাঁকে তিনি (মবশ্বির) পালানোর চেষ্টা চালান। পরে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে তাঁকে আটক করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মবশি^রকে সোপর্দ করা হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে রাতেই মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (শনিবার) বিকেল চারটার দিকে গৃহবধূর স্বামী (২২) বাদী হয়ে মামলা করেন।
কুলাউড়া থানার এসআই মাসুদ আলম ভূঞা জানান, মবশ্বিরকে গৃহবধূর স্বামীর করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ শনিবার (১৫ মে) বিকেলে মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম) আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আদালতের নির্দেশে তাঁকে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।#
Leave a Reply