আজিজুল ইসলাম ::
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা। স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী ও ক্রাইম রিপোর্ট করেছেন। এই সময়ে এমন দু:সাহস দেখানো এই নারী সাংবাদিককে স্যালুট।
সাধারণত এধরনের রিপোর্ট যারা করেন, আগে থেকেই তারা একটা শেল্টার নিয়ে কাজগুলো করেন। যাতে শারীরিক হামলা কিংবা মামলা না হয়। আমার সন্দেহ হয়, রোজিনার হাউজ (পত্রিকা) থেকে এই চক্রান্তটা হয়ে থাকতে পারে। নয়তো রোজিনা এবং উনার পত্রিকা কর্তৃপক্ষ কিছুটা হলেও এর একটা আভাস পাওয়ার কথা।
উনাকে দোষারূপ না করে বলবো-উনি যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, সেটা অনেক পূরুষ সাংবাদিকও করেন না। এতগুলো ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর উনার সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। দূর্ভাগ্য উনার উনি শারীরিকভাবে লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন।
উনি একটি বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছেন মাত্র। তার জন্য হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তার নেতৃত্বে ছিলেন সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা। যিনি দুর্নীতিও করেন, আবার সাংবাদিকের উপর হামলা করেন। এমন দু;সাহস পেলেন কোত্থেকে?
আমাদের মহান সাংবাদিক নেতারা এখন কোথায়? নাকি দলের নেতাদের পা চাটায় ব্যস্ত। একজন নারী যদি অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখে হামলা মামলার শিকার হয়। আর সাংবাদিক নেতারা যদি এমন কাজের প্রতিবাদও করেন না, তাহলে চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকাই উত্তম।
রোজিনা দেখিয়ে দিয়েছেন, এখনই জেগে উঠার সময়- অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে। নয়তো রোজিনার মতো আজ নয়তো কাল আপনাকেও এমন করুন পরিণতির জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। আর যদি দলকানা হন, তাহলে- পা চাটুন আর সাংবাদিকতা ছাড়ুন।#
লেখক- গণমাধ্যম কর্মী
Leave a Reply