এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাঘাট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়ার নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়া সোমবার (১৭ মে) বিকেলে এক প্রবাসীর সৃজিত গাছ বাগানের ২৫টি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রবাসীর দোকান ঘরে তালাবদ্ধ করে দখলও নিয়েছে। এলাকাবাসী তানু মিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলছেন না।
মঙ্গলবার দুপুরে সম্প্রতি দেশে ফেরা কাতার প্রবাসী সৈয়দ মাহমুদ আলী অভিযোগ করেন, তানু মিয়া শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চিনু মিয়ার ভাই। তোফাজ্জল হোসেন চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তার অপকর্মে শুরু। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, গাছ চুরিসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। ট্রান্সফরমার চুরি ও মাদক মামলায় সে দুইবার গ্রেফতার হয়ে কারভোগও করেছিল। সে স্থানীয়ভাবে গড়ে তুলেছে একটি শক্তিশালী অপরাদী চক্র। দিনে দিনে এই চক্রটি হয়ে উঠছে বেপরোয়া।
সম্প্রতি গত সোমবার (১৭ মে) বিকেলে তানু মিয়া চাতলাঘাট এলাকার ৯০ শতাংশ জমির সৃজিত গাছ বাগান থেকে ২৫টি গাছ কেটে নেয়। গাছ কেটে আবার চাতুরীপনা করে মাটি দিয়ে গাছের গুড়া (মোথা) ঢেকে দেয়। এর আগে গত ৩ বছরে তানু মিয়া তার (সৈয়দ মাহমুদ আলীর) ও তার প্রবাসী আরেক ভাইয়ের গাছ বাগান থেকে জোরপূর্বক ৩৫০টি গাছ কেটে নেয়। এ নিয়ে তিনি কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তদন্তক্রমে অভিযোগের সত্যতা পায় পুলিশ। পরে কুলাউড়া থানায় উপস্থিত হয়েছে ভবিষ্যতে আর এ ধরণের কাজ করবে না বলে একটি মুচলেখা দেয়। তারপরও গত সোমবার সে একটি গাছ বাগান থেকে ২৫টি গাছ কেটে নিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তানু মিয়া আরও ১৫টি গাছ কেটে নেয়।
প্রবাসী সৈয়দ মাহমুদ আলী আরও অভিযোগ করেন, তানু মিয়া শুধু গাছ কাটছে না। সে গত কয়েকমাস ধরে তাদের কয়েকটি দোকান ঘরে তালাবদ্ধ করে তার দখলে রেখেছে।
স্থানীয়ভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই তানু মিয়ার নেতৃত্বে সৃষ্ট অপরাধী চক্রের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেউ মুখ খুললে কিংবা প্রতিবাদ করলে এ চক্রের হাতে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে তানু মিয়ার তানু মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার ফোন রিসিভ করেন স্ত্রী। তবে স্বামীর অপরাধী কর্মকান্ড সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় তানু মিয়ার ওপর এ ধরণের একাধিক অভিযোগ ও একাধিক মামলায় কারভোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তানু মিয়া সোমবার ও মঙ্গলবারের গাছ কাটার আগে অভিযোগের ভিত্তিতে কুলাউড়া থানায় উপস্থিত হয়ে ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করবে না বলে মুচলেখা দেয়। এখন নতুন করে আবারও অপরাধী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।#
Leave a Reply