নিজস্ব প্রতিনিধি: কুলাউড়ায় সৎ বোনের টাকা আত্মসাতের জের ধরে সৎ বোনের স্বামিকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে । ১৯ মে (বুধবার) রাতে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দক্ষিণ টাট্রিউলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ টাটিউলি গ্রামের মনোয়ারা বেগম (২৪) ৬ বছর প্রবাসে ছিলেন । প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে সৎ ভাইয়ের নিকট নিজের উপার্জিত টাকা পাঠিয়ে জমা রাখেন । দেশে ফিরে নিজের টাকা দাবি করলে মনোয়ারা বেগমের সৎ ভাই হেলাল মিয়া (৫২) টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান । বিভিন্ন সময়ে টাকার হিসাব চাইলে হেলাল মিয়া উল্টো টাকার বিষয় অস্বীকার করে ঝগড়া বিবাদ শুরু করেন । চলতি বছরে মনোয়ারা বেগমের একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে । সে সময়ে নিজের পাওনা টাকা দাবি করলে মনোয়ারা বেগমের স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয় সৎ ভাই হেলাল মিয়া (৫২)।
প্রবাস থেকে পাঠানো নিজের পাওনা টাকার জের ধরে ১৯ মে (বুধবার) রাতে মনোয়ারা বেগমের স্বামী ইছহাক আলীর (৪৫) উপর অতর্কিত হামলা করেন সৎ ভাই হেলাল মিয়া (৫২), তার দুই ছেলে সালাউদ্দিন (২১), আলাউদ্দিন(২৫) ও স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫)। হামলায় সালাউদ্দিন ও আলাউদ্দিন চাকু ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে । পরে ইছহাক আলীকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিসৎক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন
মনোয়ারা বেগম বলেন, “প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে আমার সৎ ভাই হেলাল মিয়াকে প্রতি মাসে বিভিন্ন অংকের টাকা প্রেরণ করি । আমারটাকা দিয়ে আমার নামে জমি ও বাড়ি কেনার কথা বললেও সবই নিজের নামে করেছে আমার আমার সৎ ভাই হেলাল মিয়া। “
প্রবাসে থেকে ৬ বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা সৎ ভাই হেলাল মিয়ার কাছে পাঠানোর দাবী করছেন মনোয়ারা বেগম এছাড়াও বিদেশ থেকে আনা স্বর্ণালংকার হেলাল মিয়া কুক্ষিগত করেছেন বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগম সৎ ভাই হেলাল মিয়া, তার দুই ছেলে ও স্ত্রীকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
কুলাউড়া থানার এস আই মো:নাঈম হাসান জানান, পাওনা টাকার জের ধরে ইছহাক আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে মামলার আসামি আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply