আব্দুর রব, বড়লেখা ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চৌকি আদালত) হাজতখানার সীমানা প্রাচীর গত শুক্রবার হঠাৎ ধসে পড়েছে। এতে হাজতখানাটি অরক্ষিত। কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত ঝুকিঁপূর্ণ ভবনে চলছে আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম। জরাজীর্ণ ভবনের দেয়াল ও ছাদ ধসে দুর্ঘটনার আশংকা নিয়েই সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।
জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার উপজেলা কোর্ট পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। নব্বইয়ের দশকে এক সরকারী আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের শেষ দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারী সিদ্ধান্তে প্রায় ১২ বছর অরক্ষিত থাকা ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। ইতিপূর্বে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তোরা ভেঙ্গে অনেকের উপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্য চলাকালিন ছাদের পলেস্তোরা-খোয়া ভেঙ্গে আইনজীবিদের মাথায় পড়ারও ঘটনা ঘটেছে। সামান্য মেরামত করেই কর্তৃপক্ষ দায় সেরেছে। ২৮ মে আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৩০ ফুট সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে কোর্ট হাজতখানা। এতে কোট পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও ভিমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল রয়েছে। জরাজীর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী ভবনে রয়েছে আদালতের এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ হাজতখানা ও মহিলা হাজত খানা। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তোরা খসে পড়েছে। যে কোন সময় দেয়াল কিংবা ছাদ ধসে পড়ে দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ছাদ চুঁয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত নানা আলামত। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বসবাস করছেন আদালত স্টাফ ও পুলিশের সদস্যরা।
আদালতের সহকারী আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, আদালত ভবনটি অনেক আগেই ডেমেজ হয়ে গেছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সকলেই কাজ করছেন। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। নতুন আদালত ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে।
কোর্টের জিআরও এসআই মুজিবুর রহমান জানান, হাজতখানার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ার বিয়য়টি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত ও এব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন।#
Leave a Reply