এইবেলা, কুলাউড়া, ০৯ জুন: রমজান আলী। হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা। কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে গত বছর উপ-নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকেই নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাতে শুরু করেন রমজান। তুচ্ছ কারনেই নিজের প্রতিপক্ষকে তিনি হয়রানি করতে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার এসব কাণ্ড নিয়ে এলাকায় বিরাজ করতে চরম উত্তেজনা।
সম্পতি কর্মধার বুধপাশা স্কুলবাজার থেকে মনসুরপুরের রাস্তায় মাটি ভরাটের বরাদ্ধ পান রমজান আলী। আর এই প্রকল্পকেই নিজের প্রতিপক্ষকে গায়েল করার হাতিয়ার হিসেবে বেঁচে নেন তিনি। অপরিকল্পিতভাবে কাউকে না জানিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো রাস্তার পাশের জমি থেকে মাটি কাটার ভেকু মেশিন মাটি তুলে আনেন তিনি। এতে গভীরভাবে মাটি খনন করে আনার জন্য সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখিন হয় কৃষি জমিগুলো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত নির্বাচনে রমজান আলীকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের জমি থেকে মাটি এনেছেন নামমাত্র। আর যারা তাকে ভোট দেন নাই তাদের জমি থেকে বিশাল গর্ত করে মাটি এনেছেন। এতেও থেমে যাননি তিনি, বুধপাশা স্কুল বাজার কমিটির সভাপতি কিংবা দায়িত্বশীল কাউকে না জানিয়ে বাজারের হাজি মো. তাহির আলীর মার্কেটের বারাদ্ধা ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও ভেকু মেশিনের ধাক্কায় ফেঁটে যায় দোকানের একটি দেয়ালও।
এ প্রসঙ্গে হাজী তাহির আলীর ছেলে এম সাইফুর রহমান বলেন, আমার মার্কেট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে আমাদের না জানিয়ে মেম্বার ড্রেনের নামে দোকানের বারাদ্ধা ভেঙে ফেলেন। এসময় ভেকুর ধাক্কায় মার্কেটের একটি দেয়াল ফেঁটে গেছে। পরে আমি মেম্বারকে জানালে তিনি বলেন ঘটনার সময় তিনি সামনে ছিলেন না। বিষয়টি দেখে দিচ্ছেন। বিষয়টি বাজার কমিটিকে জানালে তারা বাজারে ড্রেন খননের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানা।
পরে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজার কমিটির সভাপতি মাসুক মিয়া রজমান আলীকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তখন রমজান আলী মাসুক মিয়াকে বলেন, তিনি বিষয়টি দেখে দিতে পারবেন না। আমি যাতে বিষয়টি নিয়ে মামলা করি। তিনি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করবেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, এই প্রকল্পটি চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক সাহেব করিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞেস করুন। প্রতিপক্ষের জমি থেকে অধিক মাটা আনা ও তাহির আলীর মার্কেটের দেয়াল ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে পারব না। আপনি আমার সঙ্গে সরাসরি দেখা করুন। তাহলে বিস্তারিত আলাপ করব।
বাজার কমিটির সভাপতি মাসুক মিয়া বলেন, ড্রেন খনেনর বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা। তবে খননের আগে অন্তত মার্কেটের মালিককে জানানো উচিত ছিল।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply