মনু নদীর ৩১ স্পট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ : ভাঙনের আশঙ্কায় তীরের মানুষ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান

মনু নদীর ৩১ স্পট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ : ভাঙনের আশঙ্কায় তীরের মানুষ

  • বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১

Manual3 Ad Code

আজিজুল ইসলাম ::

Manual3 Ad Code

মৌলভীবাজারে খরস্রোতা মনু নদীর ৩১ স্পটকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারমধ্যে ১৪টি স্পট মারাত্মক ঝুুঁকিপূর্ণ। মনু তীরের মানুষ ভয়াবহ ভাঙনের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। আর ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে বন্যা শুরুর আগেই মেরামত কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা খরস্রোতা মনু নদী মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন হয়ে প্রবাহিত হয়ে ৭৪ কিলোমিটার দুরে গিয়ে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। কেবল মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, রাজনগর ও সদর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত এই ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী প্রতিবছর প্রবল স্রোতে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে লন্ডভন্ড করে দেয় জনপদ। ফলে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে আর ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি বাড়লেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুম জুড়ে মানুষ থাকেন উদ্বেগ উৎকন্ঠায়।

Manual3 Ad Code

সর্বশেষ ২০১৮ সালে মনু নদীর ভাঙনের ফলে কুলাউড়া, রাজনগর এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই ক্ষয়ক্ষতি বিগত ৩ বছরে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষ করে শমসেরনগর থেকে শরীফপুরের চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় সেই ক্ষত এখনও বিদ্যমান। যদিও ২০১৮ সালের পরে মনু নদীতে ভাঙন সৃষ্টি না হলেও বর্ষা মৌসুমের আগে তীরের মানুষ মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামতের দাবিতে স্বোচ্ছার হয়ে উঠেন।

Manual5 Ad Code

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ৩১ টি স্পট রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে ১৪ টি স্পট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বেশিরভাগ স্পটই কুলাউড়া উপজেলায় আর সেগুলো হলো চাতলাপুর, মাহতাবপুর, জালালপুর, হাজীপুর, মন্দিরা, কাউকাপন, রনচাপ।
রাজনগর উপজেলা অংশে কাচারি, দস্তীদারেরচক, উজিরপুর, প্রেমনগর, কোনাগাঁও খেয়াঘাট, শাসমহল, খাসপ্রেমনগর এবং সদর উপজেলায় মাতারকাপন, মমরেজপুর, বালিকান্দি, নোয়ারাই ও বড়হাট এলাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ৫০টি প্রকল্পে ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী মেরামত কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষা বাঁধে ১০টি স্পটে উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এজন্য দেড়শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। যেসব প্রকল্পের কাজ জুন মাস থেকে শুরু হবে। ১০টি প্রকল্পের মধ্যে সদর উপজেলার বড়হাট এলাকায় আড়াই কিলোমিটার এলাকায় একটি ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এছাড়া অনুমোদনপ্রাপ্ত বাকি প্রকল্পগুলো হলো মন্দিরা কাউকাপন, রনচাপ, পালপুর, নোয়ারাই পাগুরিয়া, বালিয়াভাগ বালিকান্দি, মীরপুর, মাতারকাপন, মমরেজপুর, ভোলানগর মিটিপুর, খাসপ্রেমনগর, উজিরপুর ও বাসতলা মসজিদ।

সরেজমিন মনু নদীর মন্দিরা ও কাউকাপন এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন, কাউকাপন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দে, সেক্রেটারি মখলিছুর রহমান, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের সৃষ্ট ভাঙনে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী মিলে ৮৭ জন পথে বসেন। এরমধ্যে ৪০ জন দোকান মালিক ভিটেমাটি হারান। তাছাড়া রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও সেই ক্ষত নিয়ে অর্ধেক কাউকাপন বাজার কেবল কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সরকার প্রতিরক্ষ বাঁধ মেরামত মেরামতের জন্য যে বরাদ্দ প্রদান করে, তার সিংহভাগ ভাগবাটোয়ারা হয়ে যায়। প্রকল্পে কাজের কাজ কিছু হয় না। টেন্ডারে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়, সেই প্রতিষ্ঠান কাজ না করে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ বাস্তবায়নের (অঘোষিত) বিক্রি করে ফেলে। এভাবে ২-৩ বিক্রির পরে যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাঠে কাজ করে তারা ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিয়ে বাস্তবে ৪০ শতাংশ কাজও করেনা। ফলে বছর বছল একই স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয় আর নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে আগে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো দেড়শ কোটি কিংবা দু’শো কোটি টাকার প্রকল্প জলে ভেসে যাবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয় বোর্ডের উপ-বিভাগীয় পরিচালক রুমন কান্তি দাস জানান, কেবল মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ উন্নয়নে ৩ অর্থ বছরে বাস্তবায়নের ১০টি প্রকল্পের কাজ চলতি জুন মাস থেকে শুরু হবে। এই ১০টি প্রকল্পসহ ৭২টি স্পটে ৫০টি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ী তীর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত করা হবে।#

Manual6 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!