কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখা নির্বাচন অফিসে সেবা প্রত্যাশীরা হয়রানি ও অসদাচরণের শিকার সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরীর স্মরণ সভা ও দোয়া বড়লেখায় তরুণ উদ্যোক্তাকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে : এলাকাবাসির মানববন্ধন কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত অপরজনের মৃত্যু কুলাউড়ায় স্পন্দন ফাউন্ডেশনের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-বড়লেখায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান বিএনপির চেয়ারপার্সনের ৩ উপদেষ্ঠাকে জুড়ী উপজেলা বিএনপির অভিনন্দন জুড়ীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর বড়লেখায় কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান

কুলাউড়ায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক

  • মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

এইবেলা ডেক্স, কুলাউড়া ::

কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং যন্ত্রনায় অতিষ্ঠি ৭নং ওয়ার্ডের চার’টি এলাকার পাঁচ শতাধিক গ্রাহক। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয় তাদেরকে। বিষয়টি বার বার জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে জানানোর পরও কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা তারা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের এমন খামখেয়ালীপনায় ক্ষুভে ফুঁসে উঠেছেন ওই এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।

সরেজমিন মেরিনা চা-বাগান এলাকায় গেলে দেখা যায়, শতাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহক মেরিনা চা-বাগান ব্যবস্থাপক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন। পল্লী বিদ্যুতের বড়লেখা বিতরণ কেন্দ্রে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তাদেরকে নেতৃত্বদানকারী বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি খোকা নায়েক সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এই বাগান এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ২০৯ জন গ্রাহক রয়েছেন। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকেনা। জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে বার বার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনা। বিষয়টি জানাতে বড়লেখা অফিসের ডিজিএমকে ফোন দিলে তিনি গ্রাহকের কথা না শুনে জুড়ী অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দেয়ার কথা বলেই লাইন কেটে দেন। এ নিয়ে গ্রাহকরা দারুণ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা হাবিজ মিয়া, বাগান শ্রমিক মন্টু ঘোষ, দুলাল মিয়া, রমজান আলী, জাহানারা বেগম, পঞ্চায়েত নারী নেত্রী জোসনা বেগমসহ অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এখন আমাদের গলার কাঁটা। লোডশেডিং যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ট। ২৪ ঘন্টার মাঝে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। তাও গভীর রাতে। ঘরের কাজ-কর্মসহ শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় বিঘ্নতা ঘটছে। এছাড়াও প্রতি মাসে অতিরিক্ত বিল আসে। যা পরিশোধ করতে শ্রমিকদের রিতীমতো হীমশীম খেতে হয়।

জয়চন্ডী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনু মিয়া জানান, এই ওয়ার্ডে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছেন। বর্তমানে টানা লোডশেডিং যন্ত্রনায় আজ অতিষ্ঠ তারা। যে কোন দূর্ঘটনায়ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে তাদেরকে পাওয়া যায়না। মনে হয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সাথে মশকারা করছে।

মেরিনা বাগান ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান জানান, আমাদের ফেক্টরি ছাড়া বাকি স্টাফ এবং লেবার কোয়ার্টারে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘন্টার অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা। গ্রাহকদের এই দুর অবস্থার কথা আমি নিজেও ডিজিএমকে জানিয়েছি। কিন্তু আজঅবদি কোন সুরাহা হয়নি, যা অত্যান্তই দুঃখজন।

পল্লী বিদ্যুৎ বড়লেখা অফিসের ডিজিএম ইমাজ উদ্দিন সরদার জানান, বিষয়টি জেনেছি। প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে একটি বিশাল গাছ ৩৩ হাজার কেভি লাইনের উপর পড়ে গিয়ে লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যাঘাত হয়েছে। আমরা দ্রুতই সেটা সংস্কার করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে কাজ করছি।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews