অনু গল্প || ভালোবাসি ভালোবাসি || শম্পা দত্ত দাশগুপ্ত অনু গল্প || ভালোবাসি ভালোবাসি || শম্পা দত্ত দাশগুপ্ত – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু বড়লেখায় গণশুনানি : গ্রাহক হয়রানীর দায়ে পল্লীবিদ্যুত আজিমগঞ্জ কেন্দ্রের ইনচার্জকে বদলির নির্দেশ কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেললাইনের পাশে অবৈধ পশুর হাট কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমানের সমর্থনে মতবিনিময় কুলাউড়ায় সাংবাদিকদের সাথে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেহার বেগমের মতবিনিময় বড়লেখায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ঈদ পুর্নমিলনী

অনু গল্প || ভালোবাসি ভালোবাসি || শম্পা দত্ত দাশগুপ্ত

  • শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০২০

মৃনালিনীর সাথে হঠাৎ ই দেখা হয়ে গেল চন্দনের। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দন। ক্লাস ছিল ২ টা পর্যন্ত, বাড়ীর দিকে রওনা হয়, আজ আবার ৫ টা থেকে প্রথম বর্ষের কোচিং ক্লাস আছে। বাড়ীতেই পড়ায় সে।

হঠাৎ মেয়েলী গলায় পিছন থেকে কে ডাকল, “চন্দন”। ঘুরে দাঁড়িয়ে সমস্ত পৃথিবী টা ওলট পালট হয়ে গেল। ” মৃণালিনী” তুমি? দুজনেই চুপ, কেউ কিছু বলতে পারেনি অনেকক্ষণ।

মৃণালিনী আরো সুন্দরী হয়েছে, সময়ের কাঁটা এগিয়েছে। কলেজের সেই সোনালী দিনগুলো, গঙ্গার ঘাট, কফি হাউস, সিনেমা হল, পার্কের সবুজ ঘাসে, রেস্তোরার টেবিলে — সবাইতো জানতো মৃণালিনী চন্দন ঘরনী হতে চলেছে। কিন্তু সময় সে কথা শোনেনি, শুনতে চায়নি। মৃণালিনীর বাবা অপেক্ষা করেনি, বিদেশে বসবাসকারী এন আর আই পাত্র হাতছাড়া করতে চাইলেন না। মেয়েকে প্রায় জোর করে পাত্রস্থ করলেন। বিয়ের পর মৃণালিনী সাগর পারে স্বামীর সাথে উড়ে গেল। আজ প্রায় পনেরো বছর পর দুজনের দেখা। এখন পায়ে পায়ে দুজনে কফি হাউসে। চন্দন আজ কথা হারিয়েছে, সেই ডাক সাইডে , মেয়ে মহলে তুমুল আলোড়ন তোলা চন্দন। উদাত্ত গলায় মান্না দে গাইছে কলেজ ক্যান্টিনে বসে। সবাই মুগ্ধ।
চন্দন মৃদু গলায় বলে ” কেমন আছো, মৃনাল”?

মৃণালিনী অনেক বেশী প্রগলভা, নিজের কথা, নিজের স্বামীর প্রাচুর্যের কথা, সন্তানদেরসাফল্যের কথা — বলে গেল। চন্দন মৃদু স্বরে বলেছিল, বাবা, মা, ছেলে আর স্ত্রী কে নিয়ে সেও সুখী।

মৃণালিনী ব্যাগ থেকে বের করলো ছোট্ট একটা শ্বেত পাথরের তাজমহল, যেটা চন্দন ওকে দিয়েছিল ওদের প্রেমের প্রথম বার্ষিকীতে। বলেছিল এটা আমি সঙ্গেই রাখি, আমার ” ভালোবাসা” — ” চন্দন
আমি এখনো তোমায় ভালোবাসি “। চন্দন বিমূঢ়,

অনেকক্ষণ সময় চলে গেছে, আস্তে আস্তে প্রগাড় গলায় বলে ওঠে — আমার একটা নাম আছে জানতো ” শাজাহান “। আমার ভালোবাসা অক্ষয়,  আমিও ভালোবাসি তোমায় মৃণাল।

এইবেলা/জেএইচজে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews