৫ হাজার লোককে খাওয়ালেন রোহিঙ্গা হাকিম আলী ৫ হাজার লোককে খাওয়ালেন রোহিঙ্গা হাকিম আলী – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় জাতীয় সামাজিক সংগঠন নিসচা’র মানববন্ধন আত্রাইয়ে উপজেলা পরিদর্শণ করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কুলাউড়ায় প্রান্তিক এলাকায় নারীদের উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক সেমিনার- কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন বার্সেলোনায় সীফুড এক্সপো গ্লোবালে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : কুলাউড়ায় চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের ৩ শীর্ষনেতা বোরো ধানের সোনালী শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন বড়লেখায় যুব ফোরামের অর্ন্তভূক্তিকরণ সভা রাজারহাটে শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ ওসমানীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্যানেটারী মিস্ত্রির মৃত্যু

৫ হাজার লোককে খাওয়ালেন রোহিঙ্গা হাকিম আলী

  • শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১

নিউজ ডেস্ক:- ২০১১ সালে পরিবার-পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে এসে উখিয়া উপজেলার পূর্বডিগলিয়াপালং (চিতলী মোরা) নামক স্থানে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গা হাকিম আলী। কিছু দিন যেতে না যেতে জড়িয়ে ইয়াবা কারবারে। বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। যার প্রেক্ষিতে কথায় কথায় প্রশাসনের ক্ষমতা দেখিয়ে থাকেন তিনি।

করোনা লকডাউনে মানুষ যেখানে ঘরবন্দী অবস্থায় জীবন-যাপন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে মঙ্গলবার ছেলের খতনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৫ হাজারের লোকের ভুরিভোজের আয়োজন করেন রোহিঙ্গা হাকিম আলী। প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত থেকে লক্ষাধিক টাকার আতসবাজিতে গ্রামের লোকজনের রাতের ঘুম-হারাম করে দেয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ভুরিভোজ। বিষয়টি প্রশাসন জানার পর থানা পুলিশ ওই বাড়ি গিয়ে নিষেধ করে চলে আসে। পুলিশ চলে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফের তাদের আয়োজন শুরু করে দেয়।

স্থানীয় ছৈয়দুল আলম অভিযোগ বলেন, সারা দেশে লকডাউনের পাশাপাশি উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে ১৩ জুন পর্যন্ত রেড জোন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একজন রোহিঙ্গা হয়ে এসব নির্দেশনা না মেনে এতো আয়োজন কিভাবে করেন? তার এতো ক্ষমতার উৎস কোথায়? এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চলতে থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ দেশে আশ্রয়ের সুযোগে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে হাকিম আলী। ওই নারীর স্বামী পাকিস্তান থাকার সুবাদে তাকে বিয়ে করে। অথচ মিয়ানমার থেকে চলে আসার সময় তার ১ স্ত্রী ও ৩টি সন্তান ছিল। পরবর্তীতে তাকে তাড়িয়ে দিলে ওই রোহিঙ্গা নারী স্থানীয় আরেকজন ছেলেকে বিয়ে করে। কিন্তু তার কাছে হাকিম আলীর ৩টি সন্তান রয়েছে।

এর মধ্যে বড় ছেলে পুতিয়া কিছু আগে রেজু আমতলী বিজিবির হাতে দেড় লাখ ইয়াবা আটক হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। এই ধরনের পূর্বডিগলিয়াপালং এক ডজন যুবক তার ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলে রয়েছে। এতো বড় ইয়াবা গডফাদারের পাশাপাশি একজন রোহিঙ্গা হওয়ার পরেও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গা হাকিম আলী দেদারছে ইয়াবা কারবার করে যাচ্ছে।

গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, হাকিম আলীর সঙ্গে মিয়ানমারের বড় বড় রাখাইন লোকজনের পরিচয় থাকায় তার এক মোবাইল ফোনে শত কোটি টাকার ইয়াবা বাকিতে দিয়ে দেয়। যা নিয়ে এসে বিক্রি করে পরে টাকা পরিশোধ করে থাকেন তিনি। এতে সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, লকডাউনে কোনো প্রকার জনসমাগম করার সুযোগ নেই, তাই আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে বলে দিয়েছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews