কমলগঞ্জে চা বাগানে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই : ঝুঁকির মুখে শ্রমিকরা কমলগঞ্জে চা বাগানে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই : ঝুঁকির মুখে শ্রমিকরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখার দক্ষিণভাগ ইউপি নির্বাচন স্থগিত ফেইসবুক চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা! কুলাউড়ায় বিশেষ সতর্কতা জারি : অস্থায়ী সেনাক্যাম্প স্থাপন কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে রাজু ফাউন্ডেশনের ত্রাণ উপহার বালাগঞ্জের বোয়ালজুর ইউপির উপ-নির্বাচন : চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কুলাউড়ায় মতবিনিময় কমলগঞ্জে ওমান প্রবাসীর বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাঁধা নতুন ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীর, কাল সারাদেশ শাটডাউন রাজারহাটে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপী ওরিয়েন্টশন সভা কবি সঞ্জয় দেবনাথ ও মাহফুজ রিপনকে ভারতের কুমারঘাটে সম্মাননা প্রদান .

কমলগঞ্জে চা বাগানে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই : ঝুঁকির মুখে শ্রমিকরা

  • শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই। ঝুঁকির মুখে রয়েছে চা শ্রমিকরা। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। তবে এসময়েও সচল রয়েছে চা শিল্প। কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই কর্মরত শত শত শ্রমিকরা। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ডানকান ব্রাদার্স, ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) ও ব্যক্তি মালিকানাধীন চা বাগান সমুহে পুরোদমে কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে। তবে করোনাকালে চা শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে দু’একজনের মুখে মাস্ক পরতে দেখা গেলেও অধিকাংশ শ্রমিকরা মাস্ক ব্যবহার ছাড়াই কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকেরই গাঁ ঘেষাঘেষি করে পাতি উত্তোলন, ওজন ও গাড়িতে তুলে দিতে দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয়ে তদারকি করতেও সংশ্লিষ্ট চা বাগান কর্তৃপক্ষের তেমন কোন উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। কিছু কিছু স্থানে চা ছাত্র ও যুবকরা নিজ উদ্যোগে নারী শ্রমিকদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির আংশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা।

শমশেরনগর বাগানের চা শ্রমিক সন্তান মোহন রবিদাস ও ইউপি সদস্য সীতারাম বীন বলেন, ‘চা শ্রমিকদের মধ্যে নেই মাস্ক। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। ইতিমধ্যে আমাদের চা বাগানের কিছু স্টাফও করোনায় আক্রান্তের সংবাদ শুনতে পাচ্ছি। তবে এ অবস্থার মধ্যে মাস্ক ব্যবহার ব্যতীত ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।’ তারা আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে দেশের চা শ্রমিকরা। যেখানে চা পাতা তোলা হয় সেখানে স্যানিটাইজার, সাবান থাকে না। এমনকি খাবারে বিশুদ্ধ পানিরও সংকট থাকে। আর গাঁ ঘেষাঘেষি করে পাতি তোলা, ওজন দেয়া ও গাড়িতে লোড করা এসবই চা শ্রমিকদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি।’

চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জানান, চা বাগান খোলা রাখতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে যে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহার এবং নিয়মিত হাত ধোঁয়ার সুব্যবস্থা না থাকলে আরও বড় ধরণের ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে শমশেরনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন কোন কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন। তবে ওই চা বাগান ম্যানেজমেন্টের একজন কর্মকর্তা নিজের নাম ও পরিচয় গোপন রেখে বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক চা শিল্পে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চা বাগান বন্ধ থাকলে কঁচি পাতি বিনষ্ট হবে এবং বড় ধরণের লোকসান গুণতে হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews