আত্রাইয়ে লকডাউনে লোকসানে শিকার মুরগি খামারিরা আত্রাইয়ে লকডাউনে লোকসানে শিকার মুরগি খামারিরা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত অপরজনের মৃত্যু কুলাউড়ায় স্পন্দন ফাউন্ডেশনের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-বড়লেখায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ প্রদান বিএনপির চেয়ারপার্সনের ৩ উপদেষ্ঠাকে জুড়ী উপজেলা বিএনপির অভিনন্দন জুড়ীতে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর বড়লেখায় কুষ্ঠ আক্রান্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান কমলগঞ্জে চাচা ও ফুফুর মিথ্যা মামলায় হয়রানির করার অভিযোগ কমলগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু শিশু আহত বড়লেখায় ফ্রান্স প্রবাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা : গ্রেফতার ১

আত্রাইয়ে লকডাউনে লোকসানে শিকার মুরগি খামারিরা

  • শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি ::

নওগাঁর আত্রাইয়ে চলমান লকডাউনের প্রভাবে মুরগি খামারিদের চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে। একদিকে কোরবানীর ঈদ অন্যদিকে চলমান লকডাউরে ফলে মুরগি খামারিদের মুরগি বিক্রি হচ্ছে না। ফলে খামারের মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে খামার মালিকরা।

জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছোট বড় দেড় শতাধিক মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারে বয়লার ও সোনালী জাতের মুরগি উৎপাদন হয়ে থাকে। খামারিরা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে মুরগি উৎপাদন করে থাকেন। এসব মুরগি উৎপাদনে খামার তৈরি, শ্রমিক নিয়োগ, রুটিন মতো খাবার পরিবেশন ও পরিচর্যা সব কিছু মিলিয়ে খাবারের উপযোগী মুরগি তৈরি করতে একজন খামার মালিকের অনেক অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সে অনুযায়ী মুরগির দাম না থাকায় খামারিদের এখন চরম লোকসান গুণতে হচ্ছে। লকডাউনের আগে বাজারে মুরগির যে দাম ছিল তাতে তারা বেশ লাভবান হলেও এখন তাদের মুরগি বাজারজাত করতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। জানা যায়, লকডাউনের পূর্বে সোনালী মুরগি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং বয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে লকডাউনের প্রভাবে সেই সোনালী মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা এবং বয়লার মুরগি ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। তাও পাইকারী ক্রেতা অনেক কমে গেছে।

উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মুরগি খামারি আব্দুর রশিদ মৃধা বলেন, তার খামারে প্রায় ৩ হাজার মুরগি উৎপাদন হয়ে থাকে। মুরগিগুলো বিক্রির উপযোগী হলেও লকডাউনের কারনে বিক্র করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে মুরগির দাম কম। অথচ তাদের খাদ্য সামগ্রীর দাম ও শ্রমিক মজুরী অনেক বেশি। তাই বেশি খরচে মুরগি উৎপাদন করে কম মূল্যে এগুলো বিক্রি করে আমাকে অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে। ক্রমাগত লোকসানের কারনে তার তিন খামারের মধ্যে ইতোমধ্যেই দুইটি খামার বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাজারে মুরগি বিক্রেতার নাজমুল হক নিরব বলেন, আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মুরগি বেচাকেনা হতো। এখন লকডাউনের কারনে মুরগির বাজারে ধস নেমে এসেছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৬ হাজার টাকা বেচাকেনা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়েও আমাদের অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews